• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
চাঁদপুরে জাকিয়া হত্যা মামলায় আসামীর মৃত্যুদন্ড

ছবি : প্রতীকী

আইন-আদালত

চাঁদপুরে জাকিয়া হত্যা মামলায় আসামীর মৃত্যুদন্ড

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২২ নভেম্বর ২০১৮

চাঁদপুর শহরের আলিম পাড়ার বাসিন্দা জাকিয়া বেগম (৩৬) কে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে আসামী মো. খায়ের মিয়াকে মৃত্যুদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন এই রায় দেন।

হত্যার শিকার জাকিয়া বেগম আলিমপাড়া শহীদ বেপারীর স্ত্রী। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী খায়ের মিয়া ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার মিরপুর গ্রামের মো. জামাল মিয়ার ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর নিহত জাকিয়া বেগম কাউকে কিছু না বলে নিজ ঘর থেকে বের হয়ে চলে যায়। তাকে পরে খুঁজে না পেয়ে ২০১৬ সালের ২ জানুয়ারী জাকিয়ার ছোট বোন পাপিয়া বেগম চাঁদপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। এরপর জাকিয়ার পরিবারের লোকজন জানতে পারে ব্রাহ্মনবাড়িয়া নবীনগর থানায় একজন নারীর মরদেহ পাওয়াগেছে। কিন্তু এর পূর্বেই জাকিয়াকে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হয়। তারই সূত্রধরে ওই থানায় গিয়ে যোগাযোগ করেন বোন পাপিয়া এবং দাফনের পূর্বের জামা কাপড় দেখে তার বোন জাকিয়া সনাক্ত করেন।

নবীনগর থানা পুলিশ জানায়, জাকিয়া বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা শেষে বিলের মধ্যে রেখে যায়। স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে সুরাতহাল শেষে দাফন করেন। এরপর পাপিয়া বেগম অজ্ঞাতনামা আসামী করে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার সূত্র ধরে পুলিশ আসামী মো. খায়ের মিয়াকে ব্রাহ্মনবাড়িয়া থেকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন সময়ের চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন ভুঁইয়া ২০১৬ সালের ৫ জুন আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আমান উল্যাহ জানান, মামলাটি গত প্রায় ৩ বছর চলাকালীন সময়ে ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করেন। সাক্ষ্য প্রমান ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে উল্লেখিত রায় দেন। সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটির (এপিপি) ছিলেন মোক্তার আহম্মেদ অভি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads