দুর্নীতির দুই মামলায় আপিলে খালাস পেলেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্টের নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এটর্নি জেনারেল একথা জানান। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় আপিলে খালাস পেলেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। নির্বাচনে অংশ নিতে হলে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তির পরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী এডভোকেট খুরশিদ আলম খানও বলেছেন, সর্বোচ্চ আদালত থেকে সম্পূর্ণ খালাস বা দণ্ড স্থগিত না হলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না।
এর আগে ফৌজদারি অপরাধে বিচারিক আদালতে কোনো ব্যক্তির দু’বছর বা তার বেশি মেয়াদে সাজা (কনভিকশন অ্যান্ড সেন্টেন্স) হলে ওই দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল চলাকালে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে মত দেয় হাইকোর্ট।
এটর্নি জেনারেল বলেন, সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের ২(ঘ) উল্লেখ করে বলেছিলাম, সেই সমস্ত ব্যক্তিরা জাতীয় সংসদের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না বা সংসদ সদস্য হতে পারবেন না, যদি তিনি নৈতিক সৃঙ্খলন জনিত কারণে অন্যূন্য ২ বছরের জন্য সাজাপ্রাপ্ত হন এবং মুক্তি লাভের পর ৫ বছর সময় অতিবাহিত না হয়।
এমতাবস্থায় যদি তাদের দণ্ড স্থগিত করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হয় তা হবে আমাদের সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।