• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
ভিকারুননিসার শিক্ষিকা হাসনা হেনার জামিন

ভিকারুননিসার শিক্ষিকা হাসনা হেনা

সংরক্ষিত ছবি

আইন-আদালত

ভিকারুননিসার শিক্ষিকা হাসনা হেনার জামিন

  • আদালত প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১০ ডিসেম্বর ২০১৮

শিক্ষার্থী অরিত্রীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের শ্রেণিশিক্ষিকা হাসনা হেনাকে জামিন দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ গতকাল রোববার ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। পুলিশ রিপোর্ট দাখিল না হওয়া পর্যন্ত এ জামিন বহাল থাকবে।

শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে গত ৬ ডিসেম্বর আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক কামরুল ইসলাম।

জামিন শুনানিতে গতকাল শিক্ষিকা হাসনা হেনার আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। প্রধান শিক্ষক ওই শিক্ষার্থীর (অরিত্রী) অভিভাবককে ডাকতে বলায় উনি ডেকেছেন। এর বেশি কিছু তিনি জানেন না। তবে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি হেমায়েত হোসেন শুনানিতে বলেন, তিনি শিক্ষিকা নামের কলঙ্ক। তার জামিন নামঞ্জুর করা হোক।

গত ৫ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে রাজধানীর উত্তরার একটি হোটেল থেকে হাসনা হেনাকে গ্রেফতার করে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, তার কাজ হলো কোনো মেয়ে যদি ঝামেলা করে তাহলে তার বাবা-মাকে নিয়ে প্রিন্সিপালের কাছে দাঁড় করানো। এ ক্ষেত্রে (অরিত্রীর ঘটনায়) মোবাইল পাওয়ায় তিনি তাই করেছিলেন।

গত ৩ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রী। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ভিকারুননিসার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। ঘটনার পর মঙ্গলবার রাত ১০টায় রাজধানীর পল্টন থানায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণিশিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেন অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী।

মামলার এজাহারে মেয়ের আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে দিলীপ উল্লেখ করেন, অরিত্রীর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। গত রোববার (৩ ডিসেম্বর) সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এ জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের ডেকে পাঠায়। সোমবার স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, অরিত্রী মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের (টিসি) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার মেয়ের সামনে আমাকে অনেক অপমান করে। এই অপমান এবং পরীক্ষা আর দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads