• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
‘নিষিদ্ধ’ জামায়াতের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে রিট

জামায়াতে ইসলামীর লোগো

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

‘নিষিদ্ধ’ জামায়াতের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে রিট

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ নেতাদের নির্বাচনে প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। সোমবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর ডিভিশন বেঞ্চে রিটের শুনানি হয়। মঙ্গলবার এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। ‘তরিকত ফেডারেশন’র মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরি বাদী হয়ে রিট ফাইল করেন। পিটিশনারের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমির। রিটে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনে জামায়াতে ইসলামির কোনো নিবন্ধন নেই। এমন একটি দলের নেতারা কি করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন? রিটে আরো বলা হয়, আসন্ন নির্বাচনে দুই জোটের শরিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসনে জামায়াতকে ছাড় দিয়েছে বিএনপি। ২০-দলীয় শরিক দল জামায়াতে ইসলামীকে ২২টি আসন দেওয়া হয়েছে। যদিও জামায়াতকে আসন বণ্টনের শুরুতে ২৫টি আসনে ছাড় দেওয়ার কথা ছিল। এ নিয়ে জামায়াতে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন হারানো জামায়াত এবার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট করে দুটি আসনে জয়ী হয়। আর জোটের সিদ্ধান্তে দশম নির্বাচন বয়কট করে দলটি। 

উল্লেখ্য, জামায়াতে ইসলামীর নেতারা ২২টি আসনে নির্বাচন করছেন। এগুলো হচ্ছে, দিনাজপুর-১ মোহাম্মদ হানিফ, দিনাজপুর-৬ মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, নীলফামারী-২ মনিরুজ্জামান মন্টু, নীলফামারী-৩ মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, গাইবান্ধা-১ মাজেদুর রহমান সরকার, সিরাজগঞ্জ-৪ মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, পাবনা-৫ মাওলানা ইকবাল হুসাইন, ঝিনাইদহ-৩ অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, যশোর-২ আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন, বাগেরহাট-৩ অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াদুদ, বাগেরহাট-৪ অধ্যাপক আবদুল আলীম, খুলনা-৫ অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, খুলনা-৬ মাওলানা আবুল কালাম আযাদ, সাতক্ষীরা-২ মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, সাতক্ষীরা-৩ মুফতি রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা-৪ গাজী নজরুল ইসলাম, পিরোজপুর-১ শামীম সাঈদী, ঢাকা-১৫ ডা. শফিকুর রহমান, সিলেট-৬ মাওলানা হাবিবুর রহমান, কুমিল্লা-১১ ডা. আবদুল্লাহ মো. তাহের, চট্টগ্রাম ১৫ আ ন ম শামসুল ইসলাম ও কক্সবাজার-২ হামিদুর রহমান আযাদ।  

এর আগে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে এক রিট করেন। কয়েক দফা শুনানির পর হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ১ আগস্ট  রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেন। তবে এ বিষয়ে ওই সময় কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করেনি নির্বাচন কমিশন। পরে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে  ইসি। এতে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর আওতায় রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছিল। দলটির নিবন্ধন নম্বর ছিল ১৪। গতকালের রিটে জামায়াত প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন জানানো হয়।  

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads