• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
প্রভাষক কৃষ্ণা কাবেরী হত্যা মামলায় আসামি পলাশের মৃত্যুদণ্ড

প্রভাষক কৃষ্ণা কাবেরী

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

প্রভাষক কৃষ্ণা কাবেরী হত্যা মামলায় আসামি পলাশের মৃত্যুদণ্ড

  • প্রকাশিত ০৩ জানুয়ারি ২০১৯

রাজধানীর আদাবর মিশন ইন্টারন্যাশনাল কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রভাষক কৃষ্ণা কাবেরী হত্যা মামলায় আসামি জহিরুল ইসলাম পলাশকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন আজ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে কৌঁসুলি আবু আব্দুল্লাহ ভূইঁয়াজানান, আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামী পলাশকে একটি ধায়ায় মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অপর একটি ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত।

তিনি বলেন, গত ২৩ ডিসেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজ দিন ধার্য করে আদেশ দেয় আদালত। এ মামলার একমাত্র আসামি পলাশ হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।

২০১৫ সালের ৩০ মার্চ মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের ভাড়া বাসায় দুর্বৃত্তের হামলায় মারাত্মক আহত ও দগ্ধ হন কৃষ্ণা কাবেরী (৩৫)। পরদিন হাসপাতালে মারা যান তিনি।  এ সময় কৃষ্ণার দুই মেয়ে শোভনা ও অদিতিও হাতুড়ির আঘাতে আহত হন। ঘটনার পর তার বড়ভাই সুধাংশু শেখর বিশ্বাস গুলশানের ব্রোকারেজ হাউজ হাজী আহমেদ ব্রাদার্স সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলাম পলাশকে একমাত্র আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। সীতাংশু শেখর বিশ্বাস বিআরটিএর প্রকৌশল বিভাগের উপপরিচালক ছিলেন। এক বছরের বেশি সময় তদন্ত চালিয়ে ২০১৬ সালের ৩০ মে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, সীতাংশু বিশ্বাস হাজী আহমেদ ব্রাদার্স সিকিউরিটিজের মাধ্যমে বিও অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। সেখানে আট লাখ টাকা ছিল। শেয়ার ব্যবসার সূত্রেই পলাশের সঙ্গে সীতাংশুর পরিচয় হয়। সীতাংশুর শেয়ার আত্মসাৎ করার জন্য তাকে হত্যার চেষ্টা করেন পলাশ এবং তার হামলায় কৃষ্ণার মৃত্যু হয়। ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন একমাত্র আসামি গুলশানের একটি ব্রোকারেজ হাউজের ব্যবস্থাপক এম জহিরুল ইসলাম পলাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় বিভিন্ন সময়ে ২২ জন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads