• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
পাঁচ কোম্পানির বোতলজাত খাবার পানি মানহীন : বিএসটিআই

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

পাঁচ কোম্পানির বোতলজাত খাবার পানি মানহীন : বিএসটিআই

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২১ জানুয়ারি ২০১৯

বাজারের পনেরো ব্রান্ডের পানি পরীক্ষা করে পাঁচটি ব্রান্ডের পানি মানসম্মত নয় উল্লেখ করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।

মানহীন এই পাঁচটি ব্রান্ড হলো- ইয়ামি ইয়ামি, এক্যুয়া মিনারেল, সিএফবি, ওসমা এবং সিনমিন।

প্রতিবেদন দাখিলের পর মানহীন এই পাঁচ ব্রান্ডের বিরুদ্ধে কি আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্য জানাতে বিএসটিআইকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

দালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন। তার সঙ্গে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী শাম্মী আক্তার। অন্যদিকে বিএসটিআই'র পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।

পরে আইনজীবী জে আর খান রবিন বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশের পর বিএসটিআই ভিস্টাল ফ্রেশ, মুক্তা, একুয়াফিনা, মাম, কিনলে, ওয়েসিস, প্রাণ, সাফা, ক্রিস্টাল, দিশা, ইয়ামি ইয়ামি, এক্যুয়া মিনারেল, সিএফবি, ওসমা এবং সিনমিন কোম্পানির পানির মান পরীক্ষা করে। এরপর এ বিষয়ে আজ বিএসটিআই হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে।

তিনি বলেন, ওই প্রতিবেদনে ১৫ কোম্পানির মধ্যে পাঁচটি কোম্পানি (ইয়ামি ইয়ামি, এক্যুয়া মিনারেল, সিএফবি, ওসমা এবং সিনমিন) মানহীন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে ২০১৮ সালের ২২ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘প্রতারণার নাম বোতলজাত পানি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে ওই সংবাদ যুক্ত করে হাইকোর্টে একই বছরের ২৭ মে আইনজীবী শাম্মী আক্তার জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।

পরে ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর বাজারে বেআইনীভাবে বোতলজাত খাবার পানির সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিএসটিআই ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

পাশাপাশি আদালতের আদেশের পর বিএসটিআই কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে তা অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে প্রতিবেদন আকারে ১৫ দিনের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়।      

এছাড়াও প্লাস্টিক বোতল ও জারে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে সরকারের ব্যর্থতা কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট।

পাশাপাশি প্লাস্টিক বোতল ও জারে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, রুলে তা জানতে চায় আদালত।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সাতজনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিবেদন দাখিল না করলে গত ১৪ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক সপ্তাহের মধ্যে বিএসটিআইকে প্রতিবেদন দিতে বলে।

যার ধারাবাহিকতায় বিএসটিআই বাজারের ১৫টি ব্রান্ডের পানির রং, স্বাদ, পি এইচ ভ্যালু, ক্যালসিয়াম, ক্যাডিয়ামসহ বিভিন্ন উপদানের পরীক্ষা করে পাঁচটি ব্রান্ডের পানি মানসম্মত নয় উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads