• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২১ জানুয়ারি ২০১৯

টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে।

রিটে বাংলাদেশে দাওয়াতে তাবলিগের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়ে জারিকৃত পরিপত্র পুনর্বহালের আদেশ চাওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উত্থাপন করা হয়।

আদালত মঙ্গলবার এ আবেদনের ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছে বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু। রিটে ধর্ম মন্ত্রণালয়, ধর্ম সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনটি দায়ের করেন ঢাকার তেজগাঁও এলাকার বাসিন্দা ইউনূস মোল্লা। রিট আবেদনে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়ে যে পরিপত্র জারি করা হয়েছিল তার প্রেক্ষিতে শান্তিপূর্ণ তাবলিগের মেহনত সুন্দর, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। কিন্তু দু:খের বিষয় পাঁচদিন পরই ওই পরিপত্রের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়। যার ফলে দেশের প্রায় প্রত্যেকটি জনপদে হামলা, ভয়-ভীতি প্রদর্শন নতুন মাত্রা লাভ করে।

রিটে আরও বলা হয়, দ্বীনের দাওয়াত ও তাবলিগের বিষয়টি একটি ইসলাম ধর্মীয় বিষয়। এ বিষয়ে সংকট নিরসনের দায়দায়িত্ব ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের। উক্ত সংকট নিরসনে ৫ দফা নির্দেশনা দিয়ে যে পরিপত্র জারি করা হয়েছিল তা সঠিক ছিল। তবে ওই পরিপত্র স্থগিত করায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ববোধ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

এর আগে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর দাওয়াতে তাবলিগের কার্যক্রম সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুশৃঙ্খলরূপে পরিচালনার জন্য পরিপত্র জারি করে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

ওই পরিপত্রে বলা হয়, সমগ্র বিশ্বে তাবলিগের কার্যক্রম একটি অরাজনৈতিক, অহিংস, শান্তিপূর্ণ ও সম্পূর্ণভাবে ধর্মীয় কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত। মুসলমান জনসাধারণ তাদের আত্মশুদ্ধি ও ইসলামের দাওয়াতের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে আসছে। সম্প্রতি এ সংগঠনের মধ্যে দৃশ্যমান বিভক্তি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে সংগঠনের দুটি গ্রুপের মধ্যে দেশের প্রায় সকল এলাকায় প্রায়শই বিবাদ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটা ধর্মীয় রীতিনীতি তথা সার্বিক শান্তিশৃঙ্খলার অন্তরায়। এ কারণে দেশের জানমালের নিরাপত্তা, ধর্মীয় সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখা তথা সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণে পাঁচ দফা নির্দেশনা জারি করা হল।

নির্দেশনার মধ্যে অন্যতম ছিল-তাবলিগে বিদ্যমান দুটি পক্ষ সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আলোচনা/পরামর্শক্রমে কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গী ইজতেমা ময়দানসহ দেশের সকল জেলা ও উপজেলা মারকাজে সপ্তাহের ভিন্ন ভিন্ন দিনে/তারিখে তাদের কার্যক্রম (সাপ্তাহিক বয়ান ও রাত্রি যাপন, পরামর্শ ও তলীম, মাসিক জোড় ইত্যাদি) পরিচালনা করবে। তবে কোনো পক্ষ চাইলে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে পরামর্শক্রমে মারকাজ ব্যাতীত অন্য কোনো মসজিদে/জায়গায়ও তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। এই নির্দেশনা সংক্রান্ত পরিপত্রের কার্যকারিতা স্থগিত করে ২৪ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে আরেকটি পরিপত্র জারি করা হয়।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads