• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
‘বন খেকো’ ওসমান গনির ১২ বছরের সাজা বহাল

ওসমান গনি

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

‘বন খেকো’ ওসমান গনির ১২ বছরের সাজা বহাল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২২ জানুয়ারি ২০১৯

দুর্নীতির মামলায় ‘বন খেকো’ চাকরিচ্যুত প্রধান বন সংরক্ষক ওসমান গনিকে হাইকোর্টের দেওয়া ১২ বছরের সাজার রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ওসমান গনির আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এর আগে, ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর ওসমান গনির বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের সাজার রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে তা উল্লেখ না করায় সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ওসমান গনিকে ১২ বছরের সাজা দেন নিম্ন আদালত।

২০০৮ সালের ৫ জুন বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক একেএম আরিফুর রহিম ওসমান গনিকে ওই সাজা দিয়েছিলেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ওসমান গণির উত্তরার সরকারি বাসভবনে অভিযান চালিয়ে চালের ড্রাম, বালিশ ও তোশকের ভেতর থেকে এক কোটি ছয় লাখ ৮৪ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করে। তারা ৪১ লাখ ১১ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের সঞ্চয়পত্রের সন্ধানও পায়। এরপরই ওসমান গনিকে গ্রেফতার করা হয়। বাসা থেকে ওসমান গনির নামে দুটি পাসপোর্ট পাওয়া যায়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একটি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখার লকার থেকে ২৯০ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে মাত্র ২০ ভরি অলংকারের বৈধ কাগজপত্র ছিল।

দুদক ২০০৭ সালের ১৬ জুন ওসমান গনিকে তার সম্পত্তির হিসাব জমা দেয়ার জন্য নোটিশ দেয়। ওসমান গনি ২৬ জুলাই তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব জমা দেন। বিবরণীতে তিনি স্ত্রী মোহসিনারা ও তার নামে তিন কোটি ৭০ লাখ ১৫ হাজার টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদসহ ২৯০ ভরি স্বর্ণালংকার আছে বলে উল্লেখ করেন। এর মধ্যে তার নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ৪৩ লাখ ৪৩ হাজার ৪০৬ টাকার এফডিআরসহ (স্থায়ী আমানত) মোট এক কোটি ৫৬ লাখ ৭৬ হাজার ১৯১ টাকা জমা ছিল। বাসায় আসবাবপত্র দেখানো হয়েছে চার লাখ ৫৫ হাজার ৪০০ টাকার। ইলেকট্রনিক সামগ্রীর মূল্য দেখানো হয় সাত লাখ পাঁচ হাজার ৬০০ টাকা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads