• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
শিশু ইমন হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

শিশু ইমন হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত

প্রতীকী ছবি

আইন-আদালত

শিশু ইমন হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

  • সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার চাঞ্চল্যকর শিশু ইমন হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক রেজাউল করিম এ রায় দেন।

ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের সৌদি প্রবাসী জহুর আলীর ছেলে প্রথম শ্রেণির ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান ইমনকে ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ অপহরণ করা হয়।

মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার পরও অপহরণকারীরা শিশু ইমনকে হত্যা করে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বাতিরকান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী জহুর আলীর ছেলে ও লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানার কমিউনিটি বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির ছাত্র ইমনকে অপহরণ করা হয়। পরে মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার পরও অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। গত বছরের ৮ এপ্রিল মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সিলেটের কদমতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে শিশু ইমনের হত্যাকারী ঘাতক ইমাম সুয়েবুর রহমান সুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, বিষের বোতল ও রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করে। তার দেখানো মতে বাতিরকান্দি হাওর থেকে ইমনের মাথার খুলি ও হাতের হাড় উদ্ধার করে পুলিশ। মামলাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি ট্রাইব্যুনালে ওঠে। মধ্যখানে বিরতির পর গত বছরের ২ আগস্ট থেকে আবার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত। একই বছর ২১ নভেম্বর সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজনকে বাদ দেন আদালত। অপর চার আসামির মধ্যে বাতিরকান্দি গ্রামের সালেহ আহমদ ছাড়া একই গ্রামের রফিক, জায়েদ ও উপজেলা ব্রাহ্মণজুলিয়া গ্রামের সুজন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads