• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
অবৈধ ব্যাটারি কারখানার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন

ছবি : সংগৃহীত

আইন-আদালত

অবৈধ ব্যাটারি কারখানার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, দেশি পরিবেশবান্ধব ব্যাটারি শিল্প-কারখানার স্বার্থরক্ষায় সরকার সর্বোচ্চ সহায়তা দেবে। পাশাপাশি বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা ব্যাটারি উৎপাদনকারী কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। সরকার ইতোমধ্যে এ শিল্পখাতের উদ্যোক্তাদেরকে রফতানির ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে।

ব্যাটারি প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির নেতারা গতকাল সোমবার শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের সঙ্গে বৈঠক করেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তিনি এ তথ্য জানান। বৈঠকে সমিতির সভাপতি মুনাওয়ার মিসবাহ মঈন, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির, সহ-সভাপতি লোকমান হোসেনসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শিল্পমন্ত্রী পরিকল্পিতভাবে ব্যাটারি উৎপাদন ও রিসাইক্লিংয়ের জন্য একটি জায়গা চিহ্নিত করে শিল্পজোন স্থাপনের বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রস্তাব দিতে সমিতির নেতাদের পরামর্শ দেন। এর ভিত্তিতে শিল্প মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে তিনি বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা শিল্প-কারখানাগুলোকে আইন মেনে চলতে এবং নিয়ম অনুযায়ী সরকারের রাজস্ব পরিশোধ করে ব্যবসা পরিচালনায় উদ্বুদ্ধ করতে সমিতির নেতাদের পরামর্শ দেন। 

এ সময় ব্যাটারি উৎপাদন ও রিসাইক্লিংয়ের জন্য একটি শিল্পজোন গঠনের দাবি জানিয়েছে ব্যাটারি প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি। সমিতির নেতারা বলেন, দেশি শিল্পোদ্যোক্তারা পরিবেশবান্ধব ব্যাটারি উৎপাদন শিল্প গড়ে তুললেও চীনের উদ্যোক্তারা বেআইনি ও অপরিকল্পিতভাবে ব্যাটারি উৎপাদন ও রিসাইক্লিং কারখানা স্থাপন করছে। এর ফলে দেশি উদ্যোক্তাদের জন্য বাজারে অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হচ্ছে। তারা বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা ব্যাটারি শিল্প-কারখানাগুলোকে আইনি কাঠামোর আওতায় আনার তাগিদ দেন।

বৈঠকে উদীয়মান ব্যাটারি শিল্পের সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় জানানো হয়, বাংলাদেশের ব্যাটারি শিল্প ক্রমেই বিকশিত হচ্ছে। এ শিল্পখাতে ইতোমধ্যে ২৪টি দেশি উৎপাদনকারী কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব কারখানায় উৎপাদিত মানসম্পন্ন ব্যাটারি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের প্রায় ৬৯টি দেশে রফতানি হচ্ছে। এ শিল্পখাত থেকে প্রতিবছর প্রায় ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি আয় হচ্ছে বলে তারা উল্লেখ করেন।

বৈঠকে সমিতির নেতারা ব্যাটারি শিল্পের সুষম বিকাশে একটি সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়নের তাগিদ দেন। তারা বলেন, এ নীতির আলোকে পরিকল্পিতভাবে ব্যাটারি শিল্প-কারখানা গড়ে তুললে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রয়াস জোরদার হবে। এছাড়া ট্যাক্স, ভ্যাটসহ সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তারা জাতীয় স্বার্থে অপরিকল্পিত ও বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads