গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। আজ বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ক্যাবের পক্ষে রিটটি করা হয়। বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া গণমাধ্যমকে জানান, গ্যাসের দাম প্রায় দ্বিগুণ বাড়ানোর জন্য একটি প্রক্রিয়া চলছে। এর বিরুদ্ধেই রিটটি করা হয়েছে।
আদালতের বরাত দিয়ে গ্যাসের দাম দ্বিগুণ বাড়ানোর প্রস্তাবকে তামাশা বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। গণশুনানি স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইতিপূর্বে বিইআরসি ২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর গ্যাসের সঞ্চালন ও বিতরণ ফি বৃদ্ধির আদেশ দিয়েছিল। এ আদেশের বিরুদ্ধে আমরা রিট করেছিলাম। ওই রিটে আদালত রুল জারি করেছিল। রুল পেন্ডিং থাকা অবস্থায় তারা আবারও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবে গণশুনানির জন্য নোটিস দেয়। ওই নোটিসের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে আমরা আজ আবার একটি আবেদন করেছি। আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশ ৩১ মার্চ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আদালতের কাছে গণশুনানি স্থগিত চেয়েছি। এছাড়া আইন অনুযায়ী এক অর্থবছরে গ্যাসের দাম দুবার বৃদ্ধি করা যায় না। ২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর যদি একবার বৃদ্ধি করা হয় তাহলে আবার কীভাবে ২০১৯ সালের ১১ মার্চ গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির জন্য গণশুনানি করতে পারে? এখানে যেটা ঘটেছে সেটা হলো- কোনো একটি বিশেষ মহলকে সুবিধা দেয়ার জন্য এ ধরনের মক ট্রায়াল চালানো হচ্ছে।’
বিতরণ কোম্পানিগুলোর সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবে গ্রাহকপর্যায়ে ১ বার্নারের গ্যাসের চুলা ৭৫০ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকা, ২ বার্নারের চুলা ৮০০ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ২০০ টাকা এবং মিটারযুক্ত চুলার ক্ষেত্রে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৩ টাকা ৬৫ পয়সা করতে চেয়েছে।