আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলার তদন্ত কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
মামলাটির তদন্ত প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শহিদুল আলমের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার রুলসহ এই আদেশ দেন।
একই সঙ্গে এই মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া কেন অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
ওই মামলায় প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে থাকার পর গত বছরের ২০ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান শহিদুল আলম। এরপর মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ৩ মার্চ হাইকোর্টে তিনি রিটটি করেন। এই রিটের শুনানিতে গতকাল বুধবার আদালত মামলাটির নথি তলব করেন। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে ওই নথি এসে পৌঁছানোর পরে আজ শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত বছরের ৩ ও ৪ আগস্ট জিগাতলা এলাকায় সংঘর্ষের বিষয়ে কথা বলতে বেশ কয়েকবার ফেসবুক লাইভে এসেছিলেন শহিদুল আলম। ওই আন্দোলনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সরকারের সমালোচনাও করেন।
এরপর গত বছরের ৫ আগস্ট রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে শহিদুল আলমকে তুলে নেয় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ৬ আগস্ট পুলিশ তাকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখায়।