• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রতীকী ছবি

আইন-আদালত

ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২০ মার্চ ২০১৯

জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে রাজধানীর দোহারে কাপড় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম হত্যা মামলায় ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।  একই সঙ্গে আরও দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায় এ আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৫ জন হলেন- সিরাজ ওরফে সেরু কারিগর, মিনহাজ ওরফে মিনু, খলিল কারিগর, শাহজাহান কারিগর, দিদার (পলাতক), এরশাদ (পলাতক), কালু ওরফে কুটি কারিগর, আজহার কারিগর, নিয়াজ উদ্দিন, মোজাম্মেল ওরফে সুজা, জলিল কারিগর (পলাতক), জালাল, বিল্লাল, ইব্রাহিম (পলাতক) ও আ. লতিফ।

আদেশে তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুইজন হলেন- মজিদল ওরফে মাজেদা ও চায়না বেগম। তারা দু’জনই পলাতক রয়েছেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদেরকেও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া অনাদায়ে আরও এক বছর কারাভোগ করতে হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী কাজি সাহানারা ইয়াসমিন বলেন, মামলার ভিকটিম নজরুল ইসলাম ফেরি করে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। জায়গা জমির বিরোধের জের ধরে তাকে (নজরুল ইসলাম) আসামিরা হত্যা করে। আদালত বিচার শেষে ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মামলার বিবরণী সূত্রে জানা যায়, আসামিদের সাথে কাপড় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে দেওয়ানি ও ফৌজদারি একাধিক মামলাও চলছিল।

২০০৮ সালের ৩ এপ্রিল সকালে বুড়িগঙ্গা সেতুর পাশে নারিশা পশ্চিম চর এলাকায় আসামিরা নজরুল ইসলামকে পিটিয়ে আহত করে। এসময় তার স্ত্রী সূর্যভান এগিয়ে আসলে তাকেও আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় নজরুল ইসলামকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওই ঘটনায় একই দিনই (৩ এপ্রিল) দোহার থানায় নিহত নজরুলের মামা নাজিমুদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন ওই বছরের ২৬ জুলাই ১৭ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০০৯ সালের ২৫ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এছাড়া মামলায় বিভিন্ন সময় মোট ১৪ জন সাক্ষী দেন।

দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে বুধবার অভিযুক্ত ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads