• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডের মামলায় প্রতিবেদন ৮ মে

পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ দালান

ছবি : সংরক্ষিত

আইন-আদালত

চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডের মামলায় প্রতিবেদন ৮ মে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৪ এপ্রিল ২০১৯

পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় পেছনো হয়েছে। আগামী ৮ মে এই প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় অতিরিক্ত ঢাকা মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম নতুন দিন ধার্য করেন।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জন নিহত হন। আহত হন আরো অর্ধশত। এ ঘটনায় আসিফ নামে চুড়িহাট্টার স্থানীয় এক বাসিন্দা চকবাজার মডেল থানায় মামলা করেন। ওই ভবনের দোতলার পুরোটা প্লাস্টিক সামগ্রীর ও প্রসাধনীর গুদাম ছিল। বেজমেন্টে ছিল বিপুল পরিমাণ রাসায়নিকের মজুত। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যে ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ২৪টি মৃতদেহ পাওয়া যায় ওয়াহেদ ম্যানশনের নিচতলার সিঁড়িঘরে।

মামলায় বলা হয়, ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিকের দুই ছেলে মো. হাসান ও সোহেল ওরফে শহীদ তাদের চারতলা বাড়ির বিভিন্ন ফ্লোরে দাহ্য পদার্থ রাখতেন। মানুষের জীবনের ঝুঁকি জেনেও অবৈধভাবে রাসায়নিকের গুদাম করার জন্য ব্যবসায়ীদের কাছে বাসা ভাড়া দেন তিনি।  ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিক হাজী আবদুল ওয়াহেদের দুই ছেলে মো. হাসান ও সোহেল ওরফে শরীফসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ‘অবহেলাজনিত প্রাণনাশ’ অভিযোগ আনা হয় সেখানে।

মামলা হওয়ার পর হাসান ও সোহেল গত ১১ মার্চ হাইকোর্টে হাজির হয়ে আগাম জামিন চাইলে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের বেঞ্চ তিন সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনের মেয়াদ শেষে তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা জয়।

সে অনুযায়ী গত মঙ্গলবার নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন হাসান ও সোহেল। শুনানি শেষে বিচারক তা নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads