• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
আজহার-কায়সারের আপিল শুনানি ১৮ জুন

এটিএম আজহারুল ইসলাম এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার

ছবি: সংগৃহীত

আইন-আদালত

আজহার-কায়সারের আপিল শুনানি ১৮ জুন

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১০ এপ্রিল ২০১৯

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আপিল শুনানির জন্য ১৮ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ বুধবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও আইনজীবী এসএম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারে আজহারের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয় ২০১৪ সালে। আর কায়সারের সর্বোচ্চ সাজার রায় হয় তার পরের বছর।

আইন অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালের রায়ের এক মাসের মধ্যে খালাস চেয়ে আপিল করেন দণ্ডিত দুই যুদ্ধাপরাধী। এর পর ২০১৭ সালের ১৩ আগস্ট এক আদেশে আপিল বিভাগ এ দুটি আপিলের সারসংক্ষেপ দাখিলের নির্দেশ দেয়।

ওই বছর ১০ অক্টেবর দুই আপিলের ওপর শুনানি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আসামিপক্ষের সময়ের আবেদনে তা পিছিয়ে যায়। প্রায় দেড় বছর পর বুধবার মামলা দুটি সর্বোচ্চ আদালতের কার্যতালিকায় আসে।

দুই মামলার আপিল শুনানির জন্য ১৮ জুন দিন ঠিক করে দিয়ে আজ প্রধান বিচারপতি বলেন, সেদিন কার্যতালিকার ১ নম্বরে এটিএম আজহারুল ইসলাম এবং ২ নম্বরে সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার আপিল মামলা থাকবে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা দুটো একসঙ্গে দেখব, একটার পর একটা।

এ সময় খন্দকার মাহবুব আট সপ্তাহ সময় চাইলে তা নাকচ করে দেন প্রধান বিচারপতি।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরধ ট্রাইব্যুনাল-১ একাত্তরে রংপুর জেলা আলবদর বাহিনীর কমান্ডার এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন। প্রসিকিউশনের আনা নয় ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে পাঁচটি এবং পরিকল্পনা-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি (উর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) প্রমাণিত হয় তার বিরুদ্ধে। এর মধ্যে মৃত্যুদণ্ডের রায় আসে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা চালিয়ে অন্তত ১৪০০ লোককে হত্যা এবং ১৪ জনকে খুনের অপরাধে। এছাড়া ওই অঞ্চলের বহু নারীকে রংপুর টাউন হলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্যাতন কেন্দ্রে ধর্ষণের জন্য তুলে দেওয়ার অভিযোগে একাত্তরের এই বদর কমান্ডারকে ২৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অপহরণ ও আটকে রেখে নির্যাতনের আরেকটি ঘটনায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণের মতো যুদ্ধাপরাধের দায়ে অপর আসামি সৈয়দ কায়সারকে ২০১৫ সলের ২৩ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। ১৯৭১ সালে দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ‘কায়সার বাহিনী’ গঠন করে ওই দুই জেলায় যুদ্ধাপরাধে নেতৃত্ব দেন তখনকার এই মুসলিম লীগ নেতা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads