সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেনের মৃত্যুর এক বছর পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু ক্ষতিপূরণের অর্থ পাননি তার পরিবারের সদস্যরা। সুরাহা হয়নি ক্ষতিপূরণের দাবিতে দায়ের করা মামলারও। দুই বাচের চাপায় হাত হারানো রাজীব মারা যান গত বছর গত বছর ১৭ এপ্রিল। সেই দিনটির কথা স্মরণ করে রাজীবের খালা জাহানারা বেগম বলেন, ১৭ এপ্রিল রাজীবকে হারিয়েছিলাম আমরা। গত বছর এই দিনে রাজীব আমাদের ছেড়ে চিরতরে চলে গেছে। হাইকোর্টে ক্ষতিপূরণের মামলা চলছে। আমরা আদালতের দিকে চেয়ে আছি। আদালত যে রায় দেবেন, আমরা তাই মেনে নেব। আদালতই এখন আমাদের শেষ ভরসা।
গত বছরের ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারার কাছে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারান তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব। ১৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ওই বছরের ১৭ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। রাজীবের আয়ে চলত সংসার। ছোট দুই ভাইয়ের পড়ালেখা।
জাহানারা বেগম বলেন, রাজীব মারা যাওয়ার পরে বিভিন্ন জায়গা থেকে সাহায্য-সহযোগিতা এসেছে। সেই টাকায় দুই ভাইয়ের পড়ালেখা চলছে।
উচ্চ আদালতের রাজীবের পক্ষে মামলা লড়ছেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তিনি বলেন, রাজীবের মামলাটির শুনানি চলছে। আশা করছি, শিগগিরই মামলাটি শেষ হবে এবং আদালত সন্তোষজনক রায় দেবেন।
তিনি বলেন, রাজীব মারা যাওয়ার এক বছর হয়ে গেছে, তার পরিবার এখনো কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি। রাজীবের দুই ভাই এতিমখানায় অসহায় জীবন যাপন করছেন। যদি এতিম এই দুই ভাই ক্ষতিপূরণের অর্থ পায়, তাহলে তাদের জীবন আরেকটু সহজ হবে।
গত বছরের ৪ এপ্রিল রাজীবের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করেছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রিটের পর আদালত রাজীবের পরিবারকে কেন ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এটি বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চে রয়েছে।
এদিকে রাজীবের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আগামী ১৮ এপ্রিল দিন ঠিক করে দিয়েছেন, ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী।