• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

ছবি : সংগৃহীত

আইন-আদালত

প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৫ এপ্রিল ২০১৯

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ঔষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী দুদিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এ মর্মে রুল জারি করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক-আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন। ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক, দেশের সব জেলা প্রশাসককে রিটে বিবাদী করা হয়ছে।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রোগের চাহিদা ছাড়াও ফার্মেসিগুলোতে রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। শরীরে অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করার কারণে একপর্যায়ে এসব রোগীর শরীরে আর অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না। সম্প্রতি অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে ৪০০ জন লোক মারা গেছেন। জাতীয় একটি দৈনিকে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ কারণে রিট করা হয়েছে।’  

আদালত আবেদন গ্রহণ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেত ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী দুদিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করতে বলা হয়েছে এবং জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা  হয়েছে।

ব্যারিস্টার সুমন আরো বলেন, ‘প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিতে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু অনেকেই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খান ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই।

২০১৬ সালে প্রকাশিত আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এই সুপারবাগ দিন দিন এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠছে, ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতিবছর এক কোটি মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে এটি! গত বছর ক্যানসার, ডায়াবেটিস ও ডায়রিয়ায় মারা যাওয়া রোগীর সম্মিলিত সংখ্যার চেয়েও বেশি এই সংখ্যা!’

ওই আইনজীবী আরো বলেন, ‘অন্যদিকে মানুষের রোগ নিরাময়ের জন্য যে অ্যান্টিবায়োটিক বানানো হয়েছিল, অতিরিক্ত লাভের আশায় সেগুলো এখন পশুপাখিদের দ্রুত বর্ধনশীল করার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। চট্টগ্রামে করা এক গবেষণায় উঠে এসেছে, শহরের অর্ধেকেরও বেশি পোলট্রি মুরগির শরীরে এসব অ্যান্টিবায়োটিক ঢোকানো হচ্ছে। এই পোলট্রি মুরগি খেয়ে ঝুঁকিতে পড়ছে সাধারণ মানুষও।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads