সরকারি মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরীক্ষায় নামীদামি ব্রান্ডের খাদ্যপণ্য নিম্নমানের প্রমাণিত হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার আদালত বলেছে, ‘রূপচাঁদা ও তীর সয়াবিন তেলসহ অনেক নামীদামি ব্র্যান্ডের পণ্যও আছে দেখছি! প্রাণ ও ফ্রেশের হলুদের গুড়াতেও ভেজাল? তাহলে আমরা কোথায় আছি?’
বিএসটিআইয়ের পরীক্ষা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫২টি ভেজাল ও নিম্নমাণের পণ্য জব্দ ও উৎপাদন বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানিতে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করে।
বেঞ্চ এসব পণ্যের ব্যাপারে বিএসটিআই ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অবস্থান জানতে উপপরিচালকের নিচে নয় এমন দুজন কর্মকর্তাকে রবিবার হাইকোর্টে হাজির থাকতে বলেছে। এ দিন পরবর্তী শুনানি ও আদেশ দেবে আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
এর আগে সকালে কনশাস কনজুমার সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ বাদী হয়ে জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন।
শিহাব উদ্দিন খান জানান, গত ৩ ও ৪ মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয়েছে যে বিএসটিআই সম্প্রতি ২৭ ধরনের ৪০৬টি খাদ্যপণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছে। এর মধ্যে ৩১৩টি পণ্যের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে ৫২টি প্রতিষ্ঠানের পণ্য নিম্নমানের ও ভেজাল রয়েছে। গত ২ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিএসটিআই।
