• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
 ৩৪ পয়েন্টে ওয়াসার পানি পরীক্ষার নির্দেশ

ফাইল ছবি

আইন-আদালত

৩৪ পয়েন্টে ওয়াসার পানি পরীক্ষার নির্দেশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২১ মে ২০১৯

উৎসসহ মোট ৩৪টি পয়েন্টের রাজধানীর ওয়াসার পানি পরীক্ষা করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২ জুলাই পরীক্ষার প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে সংশ্লিষ্ট কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই পরীক্ষায় যত টাকা লাগবে- তা ওয়াসাকে দিতে বলা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমানের উপস্থাপন করা মতামতের শুনে মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে সাবিতা রিজওয়ানা রহমান বলেন, সুপেয় পানি পাওয়া সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার। ২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার সংযোগ ছিলো ২লাখ ৭২ হাজার ৮৪৪টি। বর্তমানে সেই সংখ্যা ৩ লাখ ৮৭ হাজার ১৭৭টি। যে পানিতে ময়লা বা ঘোলা দেখা যায় সেটাতো পরীক্ষারই দরকার নেই। সেটা তো রিজেক্টেড। আমাদের ওয়াসার পানি চারটি উৎস থেকে আসে, এগুলো হলো; ভূমিস্থ, ভূগর্ভস্থ এবং শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা।’’

এসময় আদালত বলেন, এই চারটি সোর্সে পানি এবং এই সোর্স থেকে আসা ১০টি জোনের পানি এবং এই জোনগুলো থেকে বিভিন্ন যাওয়া ১০টি র্যাজন্ডম এলাকার আর গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে দেওয়া ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার পানির স্যাম্পল নিয়ে পরীক্ষা করা যেতে পারে।

এই ৩৪টি জায়গার পানির প্রতিটি স্যাম্পল পরীক্ষায় পাঁচ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ হবে বলে জানান অধ্যাপক সাবিতা।

এরপর আদালত ৩৪টি পয়েন্টের পানি পরীক্ষা করে ২ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।

গত বছরের ১১ অক্টোবর বিশ্বব্যাংক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ অনিরাপদ উৎসের পানি পান করে। ৪১ শতাংশ পানির নিরাপদ উৎসগুলোতে রয়েছে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া। ১৩ শতাংশ পানিতে রয়েছে আর্সেনিক। পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা পানিতে এই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৮২ শতাংশ। ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পত্র-পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ ১৪ অক্টোবর রিট করেন। গত বছরের ৬ নভেম্বর হাইকোর্ট রিট আবেদনটির প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে দুই মাসের মধ্যে পানি পরীক্ষার প্রতিবেদন দাখিল করতে আদেশ দেন। একইসঙ্গে নিরাপদ পানি সরবরাহে কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

চার সপ্তাহের মধ্যে  স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওয়াসার এমডিসহ  আটজনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

এছাড়া রাজধানী ঢাকায় পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা ওয়াসার পানির মান পরীক্ষায় চার সদস্যের কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কমিটিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, আইসিডিডিআরবি, বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের একজন করে প্রতিনিধি রাখতে বলা হয়। কমিটিকে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর আদালত এ বিষয়ে মতামত দিতে কমিটির সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান সাবিতা রিজওয়ানা রহমানকে আজ আদালত উপস্থিত হতে বলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads