• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
ঋণ খেলাপিদের বিশেষ সুবিধা আটকে গেল হাইকোর্টে

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

ঋণ খেলাপিদের বিশেষ সুবিধা আটকে গেল হাইকোর্টে

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২১ মে ২০১৯

ঋণখেলাপিদের ‘বিশেষ সুবিধা’ দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেছে হাইকোর্ট। আগামী ২৪ জুন পর্যন্ত এই স্থিতাবস্থা জারি থাকবে বলে আদেশে বলা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই সার্কুলারকে চ্যালেঞ্জ করে আইনজীবী মনজিল মোরসেদের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়।

এ আদেশের ফলে, আগামী ২৪ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই সার্কুলার কার্যকর হবে না। ফলে ঋণখেলাপিরাও এই সময় পর্যন্ত ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগটি নিতে পারবেন না। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের জানান, ঋণখেলাপিদের নতুন করে সুযোগ দিতে ২ শতাংশ সুদ জমা দিয়ে ১০ বছরের জন্য ঋণ পুনঃতফসিলের সুবিধা রেখে সার্কুলার দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ বিষয়টি আমরা ১৬ মে আদালতকে অবহিত করি। ওই সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইনজীবী জানান, এ সংক্রান্ত কোনো সার্কুলার দেয়া হয়নি। পরে ওইদিন (১৬ মে) বিকেলেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে সার্কুলারটি প্রকাশ করা হয়। পরে আমরা ওই সার্কুলার চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছি।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে খেলাপিরা ঋণের হাত থেকে মুক্তি পাবেন। এতে করে সিআইবিতে তাদের নাম থাকবে না। তখন নতুন করে আবার হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার সুযোগ তৈরি হবে। এতে ব্যাংকের মেরুদন্ড ভেঙে যাবে। এ কারণেই আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম, মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত যেন সার্কুলারের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়। আদালত সার্কুলারের কার্যক্রমের ওপর ২৪ জুন পর্যন্ত স্থিতাবস্থা দিয়েছেন।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে ঋণখেলাপির তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। একই সঙ্গে রুলও জারি করেছিলেন। আর্থিক খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা বন্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন, ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, সিটি ব্যাংকের সাবেক সিইও মামুন রশিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন প্রতিনিধি ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধির সমন্বয়ে কমিশন গঠনের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং এই কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা ওই রুলে জানতে চাওয়া হয়।

রুলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের দুই সচিব, আইন সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads