• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
চলন্ত বাসে গার্মেন্টস কর্মীকে গণধর্ষণ ৪ জনের যাবজ্জীবন

ধনবড়ীতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

আইন-আদালত

চলন্ত বাসে গার্মেন্টস কর্মীকে গণধর্ষণ ৪ জনের যাবজ্জীবন

  • ধনবাড়ী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২২ মে ২০১৯

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বিনিময় পরিবহনের চলন্ত বাসে এক গার্মেন্টেস কর্মীকে গণধর্ষণ মামলায় ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে আর্থিক জরিমানা করেছেন।

আজ বুধবার দুপুরে অভিযুক্ত ৩ জনের উপস্থিতিতে এ রায় দেন টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক বেগম খালেদা ইয়াসমিন।  এই মামলায় অভিযুক্ত ১ জন পলাতক রয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- বিনিময় পরিবহনের বাস চালক হাবিবুর রহমান নয়ন (২৮), সুপারভাইজার রেজাউল করিম জুয়েল (৩৮), হেলপার আব্দুল খালেক ভুট্টো (২৩), মোহাম্মদ আশরাফুল (২৬)। এদের মধ্যে সুপারভাইজার রেজাউল করিম জুয়েল পলাতক রয়েছে।

টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিশেষ পিপি নাসিমুল আক্তার নাসিম জানান, গত ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মৌচাকে কর্মরত এক গার্মেন্টস কর্মী গৃহবধু টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে ভোর পাঁচটার দিকে ‘বিনিময় পরিবহনের’ একটি বাসে কালিয়াকৈরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় বাসে আর কোন যাত্রী না থাকার সুযোগে বাসটি কিছু দূর যাওয়ার পর বাসের শ্রমিকরা জানালা দরজা বন্ধ করে দেয়। গাড়ির চালক হাবিবুর রহমান নয়ন তাঁকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে পিঁছনের ছিটে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে পালাক্রমে বাসের সুপারভাইজার ও হেলপারও তাকে ধর্ষণ করে। বাসটি ঢাকার উদ্দ্যেশে না গিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের একটি ফাঁকা জায়গায় ওই গৃহবধু গার্মেন্টস কর্মীকে নামিয়ে দিয়ে বাস নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। ভিকটিম মধুপুর বাসস্ট্যান্ড এসে তাঁর স্বামীকে জানালে স্বামী তাঁকে কালিয়াকৈর বাসস্ট্যান্ড আসতে বলে। পরে ভিকটিম স্বামীকে বিস্তারিত জানালে তাঁর স্বামী তাঁকে টাঙ্গাইল এনে সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত বাসের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে ওইদিনই গ্রেফতার করে। ধর্ষিতার স্বামী বখতিয়ার বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় ৯ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ তদন্ত শেষে ৪ জনকে আসামী করে অভিযোগপত্র দেন এবং ৬ জনকে অব্যাহতি প্রদান করে। গ্রেফতারকৃত ৩ আসামী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী ও ধর্ষিতা ওই গৃহবধু ২২ ধারায় আদালতে জবানবন্দী প্রদান করে। মামলার বাদীসহ মোট ৯ জন আদালতে স্বাক্ষী প্রদান করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads