দুর্নীতির মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার চলমান মামলাগুলোর বিচারকাজ পুরাতন কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জের নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারে আদালত স্থানান্তর করার বিষয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
আজ রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। পরে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি উপস্থাপন করা হলে শুনানির জন্য আগামীকাল সোমবার দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে গত ২১ মে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী কায়সার কামাল সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে একটি আইনি নোটিশ পাঠান। তার জবাব না পাওয়ায় এ রিটটি দায়ের করা হয় বলে তিনি জানান।
ওই আইনি নোটিশে বলা হয়, সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদের স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যেকোনো বিচার হতে হবে উন্মুক্তভাবে। কারাগারের একটি কক্ষে উন্মুক্তভাবে বিচার হতে পারে না। ফলে এই প্রজ্ঞাপন সংবিধানবিরোধী। একইসঙ্গে কোথায় কোথায় কারাগার স্থানান্তরিত হতে পারে তা ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে দেয়া আছে। ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে কোথাও উল্লেখ নেই যে, কারাগারের মধ্যে আদালত স্থাপন হতে পারে। সুতরাং সংবিধান ও ফৌজদারি আইনের বিরুদ্ধে সরকার অবস্থান নিয়েছে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড পেয়ে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি রয়েছেন খালেদা জিয়া। দীর্ঘদিন কারাগারে থেকে অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বর্তমানে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে তার বিচারের জন্য আদালত বদলের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
