পুলিশের ‘বিতর্কিত’ ডিআইজি মিজানুর রহমানের স্থাবর ও অস্থাবর সব সম্পত্তি ও মালামাল ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অবৈধ উপায়ে তার অর্জিক সম্পদ বেহাত হওয়ার আশঙ্কায় আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে তার মালামাল জব্দ করতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন।
ডিআইজি মিজানের সম্পদ ক্রোক করতে দুদকের আবেদনে বলা হয়, পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদের নেতৃত্বে ডিআইজি মিজানের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধান করছে দুদক। তার সম্পদের অনুসন্ধান শুরুর পর থেকেই ডিআইজি মিজান তার বৈধ আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ বিক্রি ও স্থানান্তর করার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। এ পরিস্থিতিতে অসাধু উপায়ে অর্জিত তার এসব সম্পদ বা সম্পত্তির বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে অবস্থায় তার এসব সম্পদ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করাও সম্ভব হবে না। সে কারণে তার সম্পদ ক্রোক করার আবেদন করা হচ্ছে।
দুদকের আবেদনটি আমলে নিয়ে আদালত দুদকের পক্ষে উপস্থিত আইনজীবীর বক্তব্য শোনেন এবং সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে এই আদেশ দেন।