• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
ঋণখেলাপির বিশেষ সুবিধাভোগীরা নতুন ঋণ পাবেন না

ফাইল ছবি

আইন-আদালত

ঋণখেলাপির বিশেষ সুবিধাভোগীরা নতুন ঋণ পাবেন না

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৮ জুলাই ২০১৯

ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক যে নীতিমালা জারি করেছে তার কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্টের দেওয়া স্থিতাবস্থার আদেশ শর্তসাপেক্ষে দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

এই সময়ে ওই নীতিমালার সুবিধাভোগীরা নতুন করে ঋণ নিতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে আপিল আদালত।

একই সঙ্গে ব্যাংকের ঋণ বিধি ও নীতি সংক্রান্ত রিটের এই মামলাটিতে ইতিপূর্বে জারিকৃত রুল হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানির জন্য বলেছে আদালত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিটকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

এর আগে গত ২ জুলাই ওই সার্কুলারের ওপর হাইকোর্টের দেয়া স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য দেয়া আদেশ স্থগিত করেছিল আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। একইসাথে, এ বিষয়ে ৮ জুলাই (আজ) আপিল বিভাগের নিয়মিত পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছিল। আজ ওই বিষয়ে শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেয় আপিল আদালত

জানা যায়, ব্যাংকিং খাতে অর্থ আত্মসাৎ, ঋণ অনুমোদনে অনিয়ম, প্রাইভেট ও পাবলিক ব্যাংকগুলোতে ব্যাংক ঋণের ওপর সুদ মওকুফের বিষয়ে তদন্ত এবং তা বন্ধে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য কমিশন গঠন করার অনুরোধ জানিয়ে হিউম্যান রাউটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইআরপিবি) গত জানুয়ারিতে রিট করে।

রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে ঋণখেলাপির তালিকা দাখিলের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন।

পরবর্তীতে গত ১৬ মে হাইকোর্টের উপরোক্ত বেঞ্চ গত ২০ বছরে কোটি টাকার ওপরে ঋণখেলাপিদের তালিকা, কী পরিমাণ ঋণের সুদ মওকুফ করা হয়েছে, ঋণের সুদ মওকুফের ক্ষেত্রে যে অনিয়ম চলছে, তা বন্ধে কী কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তার তথ্য আগামী ২৪ জুনের মধ্যে দাখিল করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্দেশ দেয়। এ অবস্থায় ওই দিনই (১৬ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ খেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।

জারিকৃত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঋণখেলাপিরা মাত্র দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়েই ঋণ পুন:তফসিল করতে পারবেন। পুন:তফসিল হওয়া ঋণ পরিশোধে তারা সময় পাবেন টানা দশ বছর। এক্ষেত্রে প্রথম এক বছর কোনো কিস্তি দিতে হবে না।

পরে রিটকারীর এক আবেদনে গত ২১ মে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালার ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন এক মাসের জন্য। এরপর গত ২৪ মে ওই প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতার ওপর দুই মাসের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্ট। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন জানান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads