কুমিল্লার আদালতে বিচার চলাকালীন সময়ে বিচারকের খাস কামরায় ঢুকে বিচারকের সামনে ফারুক নামের এক আসামিকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে মামলা হয়েছে।
ঘটনার সময় আদালতে অন্য একটি মামলায় হাজির থাকা জেলার বাঙ্গরা থানার এএসআই ফিরোজ বাদী হয়ে অভিযুক্ত হাসানকে আসামি করে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় আজ মঙ্গলবার একটি হত্যা মামলা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোতয়ালী মডেল থাকার পরিদর্শক তদন্ত মো. সালাউদ্দিন।
তিনি বলেন, বাঙ্গরা থানার এএসআই ফিরোজ বাদী ফারুকের হত্যাকারী হাসানকে একমাত্র আসামি করে ওই মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলাটি পরবর্তীতে তদন্তের জন্য ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।
ডিবির ইন্সপেক্টর প্রদীপ মন্ডলকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। আসামী হাসান কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার ভোজপাড়া গ্রামের শহিদ উল্লাহর ছেলে।
উল্লেখ্য, সোমবার কুমিল্লা আদালতে বিচার চলাকালীন সময়ে এজলাস অতিক্রম করে খাস কামরায় ঢুকে এক আসামি অন্য আসামিকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
২০১৩ সালে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের কান্দি গ্রামে হাজী আবদুল করিম হত্যার ঘটনা ঘটে। সোমবার ওই মামলার জামিনে থাকা আসামিদের হাজিরার দিন ধার্য ছিল। বেলা ১১টার দিকে এ মামলার আসামিরা আদালতে প্রবেশের সময় ৪নং আসামি ফারুককে ছুরি নিয়ে তাড়া করে ৬নং আসামি হাসান। এ সময় জীবন বাঁচাতে ফারুক বিচারকের খাস কামরায় প্রবেশ করেন। সেখানে হাসান প্রবেশ করে টেবিলের উপর ফেলে ফারুককে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত হত্যা করে।