• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
কেরানীগঞ্জে মুল আসামী গ্রেপ্তার

পুলিশের সোর্স হাসু হত্যার মূল হোতা রাজিব ওরফে সুটার রাজিব

ছবি : বাংলাদেশের খবর

আইন-আদালত

পুলিশ সোর্স হাসু হত্যা

কেরানীগঞ্জে মুল আসামী গ্রেপ্তার

পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করায় হাসুকে কুপিয়ে হত্যা

  • কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৩ জুলাই ২০১৯

কেরানীগঞ্জে পুলিশ সোর্স মাহাবুব হাসান হাসু হত্যার মামলার মুল আসামী খুনি রাজিব ওরফে সুটার রাজিবকে গ্রেপ্তার করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ১৯ , গাজিপুর এলাকা থেকে রাজিবকে প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাজিব জবানবন্ধীতে জানায়, হাসু নিজে মাদক ব্যবসায়ী ও পুলিশের সোর্স হয়ে কাজ করতো এবং পুৃিলশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির কারনে মাহাবুব হাসান হাসু (৩০) খুন করে রাজিবসহ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী। আর এই রাজিবই হাসু হত্যার মুল পরিকল্পনাকারী ।

আসামী রাজিবের বরাদ দিয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এস আই সাদিকুর রহমান জানান, নিহত মাহাবুব হাসান হাসু পুলিশের সোর্স হিসাবে মাঝে মাধ্যে কাজ করতো। এ হত্যা মামলার মূল হোতা রাজিবকে গ্রেপ্তারের পর বিজ্ঞা আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তাকে হাজির করা হলে সে তার জবান বন্দীতে হত্যার কারন অপকটে স্বীকার করে।

রাজিব আরো জানান, তারা কয়েক বন্ধু আসামী গলাচিপার হাসান, জামাল, রমজান এবং সে নিজেও মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তারা কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসা করতো। হাসুর সাথে তাদের সখ্যতা ছিলো অনেক দিনের। ঘনিষ্ঠতার সুত্রে হাসু তাদের মাদক ব্যবসায়ের সকল খবরা খবর জানতো। এ সুবাদে প্রায়ই জামাল, হাসান, রাজীবের কাছ থেকে পুলিশের নাম বলে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করতো হাসু। চাঁদা না দিলে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিবে বলে হুমকি দিতো। হাসু এদের কয়েকবার পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে মামলা করিয়ে জেলও খাটিয়েছে বলে রাজিব জানান। এভাবে কিছু দিন পর পরই চাাঁদা দাবী করতো। চাঁদা দিলে কিছু দিন ঠাণ্ডা থাকতো। কয়েক দিন যেতে না যেতেই আবার চাঁদা দাবী করতো।এক পর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে হাসান, রাজিব, জামাল ও রমজান মিলে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী গত বছর ১২ এপ্রিল ১৮ইং বৃহস্পতিবার ভোরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হাসুকে বাসা থেকে ডেকে এনে আসামীরা হাসুর বাসার সামনেই এলোপাথাড়ি ছুড়িকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এরপর ওই এলাকার নাইডগার্ড হাসুর পরিবারকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে পৌছে হাসুকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসুকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় হাসুর বড় বোন বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে আমরা এ পর্যন্ত এ হত্যা কাণণ্ডের মুল হোতা ছাড়া সকল আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছি। আসামীরা সবাই ১৬৪ ধারায় জবান বন্দী দিয়েছে এবং হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

মামলার বাদী নিহতের বড় বোন জানান, আমার ভাই নিহত হওয়ার আজ প্রায় দেড় বছর পর হত্যার মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে পুলিশ। আশা করি আমি এ হত্যা কান্ডের ন্যায় বিচার পাবো।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের জানান, সোর্স হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা সবাই খুনের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। মূল হোতা স্যুটার রাজীবের নামে ভিণœ ভিন্ন থানায় কয়েকটি মামলা আছে। তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads