কুষ্টিয়ার মিরপুরে আলোচিত নুরুল ইসলাম হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদন্ড, ছয়জনের যাবজ্জীবন এবং আরো ছয়জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আহ বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মশিয়ার রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে মাসুদ, আনছার আলীর ছেলে পারভেজ, সৈয়দ আলীর ছেলে হরিবর রহমান,সহোদর ফজলুর রহমান ও সরোয়ার হোসেন। যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলেন, বিল্লাল হোসেন, মঞ্জু, সোহেল রানা, রমিজ আলী মতিয়ার রহমান ও কবির হোসেন।
এছাড়া ভুট্টো, রকি, এনায়েত ও সালামকে তিন বছর এবং নান্নু ও ফরিদকে সাত বছর কারাদন্ড দিয়েছেন বিচারক। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তরিকুল, আকরাম, আশরাফ, ইমরান ও ছালামকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী জানান, রায়ে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক। এ অর্থ স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রী করে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। আর কারাদন্ড প্রাপ্তদের প্রত্যেককে ৫০হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও
এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদনণ্ড দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন প্রাপ্তদেরও।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় কোন্দলে ২০১৪ সালের ২০ ডিসেম্বর মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ বাজারের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আসামিরা নুরুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে শাহীন রহমান সজিব বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে মিরপুর থানার হত্যা মামলা করেন।
কুষ্টিযা জজ কোর্টের পিপি অনুপ কুমার নন্দী জানান, তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করলে এ মামলার বিচারকাজ শুরু করে আদালত। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আজ এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর আসামিদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
