কুষ্টিয়া মডেল থানায় দায়েরকৃত অপহরণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন, দুইজনকে ১৭ বছর ও ৪ জনের ১৪ বছরের কারাদনণ্ড দিয়েছে আদালত।
আজ রোববার দুপুরে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মশিয়ার রহমান এই কারাদন্ডাদেশের রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামী হলেন, সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাদপুর থানার বন গ্রামের মৃত মকছেদ আলী প্রামাণিকের ছেলে মজিবুর রহমান প্রামাণিক।
এছাড়াও পাবনা জেলার মসজিদ ব্র্যাক এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে আক্তার হোসেন ও পাবনা সদর উপজেলার খোদাইরপুর খলিফাপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মনিরুল ইসলামকে ১৭ বছর এবং পাবনা সদর উপজেলার নতুন বাঙ্গাবাড়ীয়া এলাকার ইয়াসিন আলী প্রামাণিকের ছেলে মনিরুল ইসলাম রানা ও ইসরাইল সরদারের ছেলে সোহাগ সরদার, মালিগাছা মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান সরদারের ছেলে আশরাফুল ইসলাম, একই গ্রামের আফাই মোল্লার ছেলে রনি হোসেনকে ১৪ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ দন্ডপ্রাপ্তরা কুষ্টিয়া শহরের মোল্লাতেঘরিয়া থেকে আসমাউল হুসনা কবিতাকে অপহরণ করে নেওয়ার সময় ভেড়ামারার লালনশাহ সেতুর টোলপ্লাজায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনায় আসমাউল হুসনা কবিতা ৯ জনের নাম উল্লেক করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালতে ৩ আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। সেই সাথে আসামীদের কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে প্রেরনের আদেশ দেন।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি (নারী ও শিশু) অ্যাড. মেহেদী হাসান সিদ্দিকী জানান, অপহরণ মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৭ ধারা মজিবুর প্রামাণিককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ২০ হাজার জরিমানা, আক্তার হোসেন, মনিরুল ইসলামকে একই আইনের ৭/৩০ ধারা মোতাবেক ১৭ বছরের কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং মনিরুল ইসলাম রানা, সোহাগ সরদার, আশরাফুল ইসলাম ও রনি হোসেনকে একই আইনের ৭/৩০ ধারা মোতাবেক ১৪ বছরের কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। আসমাউল হুসনা কবিতা যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত মজিবুর রহমান প্রামাণিকের সাবেক স্ত্রী এবং কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার চকহরিপুর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলাম খানের মেয়ে।
