• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
সাড়ে চার মাস পর গৃহবধূর লাশ উত্তোলন

গৃহবধূ লাইলী আক্তারের লাশ কবর থেকে উত্তোলন কমে ময়না তদন্তের জন্য নেওয়া হচ্ছে

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

আইন-আদালত

সাড়ে চার মাস পর গৃহবধূর লাশ উত্তোলন

  • কুমিল্লা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৫ অক্টোবর ২০১৯

কুমিল্লার মুরাদনগরে আদালতের নির্দেশে গৃহবধূ লাইলী আক্তারের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার প্রায় সাড়ে চার মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য উপজেলার পৈয়াপাথর উত্তর পাড়া কবরস্থান থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উত্তোলন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম কমল, পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর হিলাল উদ্দিন।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর পূর্বে জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ষাইটশালা গ্রামের জীবন মিয়ার কন্যা লাইলী আক্তারের সাথে মুরাদনগর উপজেলার পৈয়াপাথর গ্রামের সাবেক মেম্বার হারুনুর রশীদের ছেলে রুবেল মিয়ার বিয়ে হয়। এ দম্পতির দুটি কন্যা এবং একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে চলতি বছরের ২০ মে রুবেল মিয়া ও তার দুই ভাইসহ কয়েকজনকে নিয়ে তার স্ত্রী লাইলী আক্তারকে মারধর করে। এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ২৬ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লাইলীর মৃত্যু হয়। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে ওই গৃহবধূর লাশ দাফন করা হয়। এ নিয়ে লাইলীর মা জামিলা খাতুন ৭ জুলাই আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি থানায় এজহারভূক্ত করে তদন্ত করতে পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে পিবিআই মামলার প্রধান আসামি রুবেল মিয়াকে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদ করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল পিবিআইয়ের কাছে ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেছে বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন বলেন, আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য গৃহবধূ লাইলী আক্তারের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন প্রধান ঘাতক নিহত লাইলির স্বামী রুবেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত করে বাকী আসামিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads