• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

আইন-আদালত

ভারতীয় জেলের বিরুদ্ধে বিজিবির দুই মামলা

  • রাজশাহী ব্যুরো
  • প্রকাশিত ১৯ অক্টোবর ২০১৯

রাজশাহীর চারঘাট এলাকার পদ্মায় ইলিশ শিকারের সময় আটক ভারতীয় জেলে প্রণব মণ্ডলের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে চারঘাট থানায় মামলা দুটি করা হয়। গতকাল শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

অভিযুক্ত প্রণবের বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী থানার ছিড়াচর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের বসন্ত মণ্ডলের ছেলে।

মামলার দুটির একটিতে প্রণবের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে। অপরটিতে অভিযোগ আনা হয়েছে অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে বেআইনিভাবে মাছ শিকারের।

চারঘাট থানার ওসি সমিত কুমার কুণ্ডু বলেন, চারঘাট সীমান্ত করিডর ফাঁড়ির বিজিবি সদস্যরা রাতে প্রণবকে থানায় নিয়ে আসেন। এরপর তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়। প্রণবকে রাতে থানায় খেতে দেওয়া হয়। তিনি পুরোপুরি সুস্থ।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ভারতীয় ওই জেলেকে আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা সদরের বালুঘাট এলাকায় পদ্মা ও এর শাখা নদ বড়ালের মোহনায় এ ঘটনা ঘটে।

ভারতের একাধিক গণমাধ্যমের দাবি, গোলাগুলির ঘটনায় এক বিএসএফ জওয়ান নিহত হয়েছেন। তবে বৃহস্পতিবার রাতে বিজিবির রাজশাহী-১ ব্যাটালিয়নের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ বলেন, পতাকা বৈঠকে বিএসএফ দাবি করে যে, তাদের এক জওয়ান (হেড কনস্টেবল) মারা গেছেন। কিন্তু তারা কোনো ভিডিও বা স্থিরচিত্র আমাদের দেখাতে পারেনি। তার পরও বিষয়টি আমরা তদন্ত করে পদক্ষেপ নিতে চেয়েছি।

বিজিবির সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, মা ইলিশ সংরক্ষণ কর্মসূচির আওতায় গতকাল সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে বিজিবি সদস্যরা শাহরিয়ার খাল নামক স্থানে মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে অভিযান চালান। ওই সময় মাছ শিকার করতে থাকা তিন জেলেকে আটকের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু দুজন পালিয়ে যায়। অন্যজনকে জালসহ আটক করে নদীর এপারে আনা হয়। পরে জানা যায় তিনি ভারতীয় নাগরিক।

লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, এ ঘটনার পর বিএসএফের একটি দল স্পিডবোট নিয়ে অনুমতি ছাড়াই শূন্য লাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসে। একপর্যায়ে তারা ভারতীয় জেলেকে ছেড়ে দিতে বলে। বিজিবি সদস্যরা জানান, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে হস্তান্তর করা হবে। কিন্তু বিএসএফ সদস্যরা ভারতীয় নাগরিককে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে বাধা দিলে বিএসএফ সদস্যরা বিজিবি সদস্যদের ওপর ৬ থেকে ৮ রাউন্ড গুলি ছোড়েন। আত্মরক্ষার জন্য বিজিবি সদস্যরাও পাল্টা ফাঁকা গুলি ছুড়লে বিএসএফ সদস্যরা স্থান ত্যাগ করে চলে যান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads