• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
নরসিংদীতে মক্তিপণ আদায়কারী দলের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

নরসিংদীতে গ্রেপ্তারকৃত মক্তিপণ আদায়কারী দলের সদস্যরা

প্রতিনিধির পাঠানো চবি

আইন-আদালত

নরসিংদীতে মক্তিপণ আদায়কারী দলের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

  • নরসিংদী প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২০ অক্টোবর ২০১৯

নরসিংদীতে মহাসড়কে চলন্ত বাসে অপহরণ করে মক্তিপণ আদায়কারী দলের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

গতকাল শনিবার দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনা করে শহরের ভেলানগর, পাঁচদোনা ও মাধবদী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো : মাধবদীর আসমান্দীরচর গ্রামের হাসেম মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন (২৮), কাকশিয়া গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে মো. শাহজালাল (২২), পাঁচদোনা এলাকার মনির হোসেনের ছেলে রানা মিয়া (২২) ও স্বর্পনিগর গ্রামের ইউনুছ মিয়ার ছেলে আবু তাহের (২০)।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই পেশাদার মুক্তিপণ আদায়কারী দলের সদস্য। তাদের একটি মিনিবাস রয়েছে। তারা সবাই মিনিবাসের সাহায্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর অংশে যাত্রীদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে। গত ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মাধবদী জজ ভূইয়া স্পিনিং মিলের সিনিয়র প্রডাকশন অফিসার হাবীবুর রহমান অফিস শেষে নরসিংদী ফেরার পথে ভেলানগর বাসটি এসে থামলে অপহরণকারীদের পূর্বে থেকে উৎপেতে থাকা কয়েক জন তাকে কৌশলে নামতে বাঁধা দেয়। বাসের সকল যাত্রী নেমে গেলে সাথে সাথে বাসটি পাঁচদোনার দিকে দ্রুত গতিতে যেতে থাকে। এরই মধ্যে অপহরণকারীরা তার চোখ বেধে ফেলে ভয়ভীতি দেখায়। অপহরনকারীদের সুবিধামত জায়গায় নিয়ে তার সাথে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা ও ১টি ওয়ালটন মোবাইল হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে তাকে শারীরিক নির্যাতন করে তার স্ত্রীর নিকট ফোন দিয়ে ১লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। পরে তার স্ত্রী কামরন্নাহার খুশি পুলিশ সুপারকে জানালে পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের নিদের্শ দেয়। পরে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে পাঁচদোনা থেকে হাবীবুর রহমানকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় শুক্রবার হাবীবুর রহমান নরসিংদী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে শনিবার বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ শহরের ভেলানগর মোড়ে অভিযান চালিয়ে শাহজালাল ও আবু তাহেরকে গ্রেপ্তার করে। রাতে জাকিরের বাড়ি আসমান্দীরচর থেকে জাকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ শনিবার দিনগত রাতে মাধবদী থেকে রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নরসিংদী গোয়েন্দা পুলিশের উপ -পরিদর্শক জাকারিয়া রতন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা পেশাদার। তাদের নামে নরসিংদী সহ বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ছিনতাই, অপহরণ, চুরি সহ বিভিন্ন আইনে মামলা আছে। এছাড়াও এজাহার ভুক্ত ২ জন আসামী এখনো পলাতক রয়েছে। তাদেরকে ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads