• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সিদ্ধান্ত আজ

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সিদ্ধান্ত আজ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৪ জানুয়ারি ২০২০

ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ বদলাবে কি না সে প্রশ্নে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত জানা যাবে আজ। গতকাল সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো.খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিষয়টি মঙ্গলবার (আজ) আদেশের জন্য রাখেন। রিটকারী আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ আদালতে নিজেই শুনানি করেন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন তৌহিদুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর-উস সাদিক। ৩০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন রেখে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। সে অনুযায়ী প্রার্থীরা প্রচারও শুরু করেছেন। কিন্তু ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পূজা থাকায় ভোটের তারিখ পরিবর্তন করতে আদালতে রিট করেছেন আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে আদালত জানতে চেয়েছিল সরস্বতী পূজার ছুটি কবে। কিন্তু ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর উস সাদিক বিভ্রান্তিকর কথা বলায় তাকে তিরস্কার করেন বিচারক। তৌহিদুল হক শুনানিতে বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্রীয় সব আচার-অনুষ্ঠান যথাযথভাবে দেখে কমিশন ভোটের দিন ঠিক করে। ঢাকা সিটির ভোটের জন্য যে দিন নির্ধারণ করা হয়েছে, তা এগোনো বা পেছানো ঠিক হবে না।

রিটকারী আইনজীবীর অশোক কুমার ঘোষ বলেন, সংবিধানের ৮, ১২, ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিককে ধর্ম পালনের যে মৌলিক অধিকার দেওয়া হয়েছে, নির্বাচনের ঘোষিত তারিখ সংবিধানের এ অনুচ্ছেদগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আসছে ৩০ জানুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ২৯ জানুয়ারি দিনের দ্বিতীয় ভাগ থেকে ৩০ জানুয়ারি আধাবেলা সরস্বতী পূজা।  এ পূজাটি দেশের প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হয়ে থাকে। ৩০ জানুয়ারি নির্বাচন হলে তার কয়েক দিন আগেই ভোটের কার্যক্রম শুরু হবে। এতে পূজা পালনে বিঘ্ন ঘটবে বা পূজার আচার-আনুষ্ঠানিকতা বাধাগ্রস্ত হবে। রিট আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। ফলে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতেই ৩০ জানুয়ারি সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করা হোক।

সিটি নির্বাচনের ঘোষিত তারিখ ৩০ জানুয়ারি কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, সে মর্মে রুলও চাওয়া হয় রিটে। এতে বিবাদী করা হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব ও ঢাকার জেলা প্রশাসককে। এর আগে পূজা উদযাপন পরিষদ সরস্বতী পূজার বিষয়টি তুলে ধরে ভোটের দিন পরিবর্তনের অনুরোধ করেছিল ইসির কাছে। এছাড়া হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদও একই অনুরোধ করে। নির্বাচনের তারিখ পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও (ঢাবি) মানববন্ধন হয়।

দেশের সর্ববৃহৎ পূজামণ্ডপ রামকৃষ্ণ মিশন ও ঢাকায় স্বরস্বতী পূজার মূল কেন্দ্র ঢাবির জগন্নাথ হল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় পড়েছে। এখানে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভোটকেন্দ্র পড়েছে, যেখানে প্রতিবছরই সরস্বতী পূজার আয়োজন হয়। এ পরিস্থিতিতে রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ভোটের তারিখ বদলের নির্দেশ দেবে কি না তা নিয়ে রোববার দিনভর আলোচনা চলে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads