• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
খালেদা জিয়ার চিকিৎসাবিষয়ক প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টে

ফাইল ছবি

আইন-আদালত

খালেদা জিয়ার চিকিৎসাবিষয়ক প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসাবিষয়ক প্রতিবেদন উচ্চ আদালতে পৌঁছেছে। আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওই প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে পৌঁছায়।

সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে, গত রোববার খালেদা জিয়ার চিকিৎসাবিষয়ক তিন অবস্থার তথ্য জানতে চান হাইকোর্ট। মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুসারে খালেদা জিয়া অ্যাডভান্স থেরাপির জন্য সম্মতি দিয়েছেন কি না, দিলে সেই চিকিৎসা শুরু হয়েছে কি না, চিকিৎসা শুরু হলে এখন কী অবস্থা, তা জানিয়ে আজকের মধ্যে আদালতে এ প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত বোর্ডে প্রধান হিসেবে রয়েছেন বিএসএমএমইউর মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. জিলন মিয়া। অন্যরা হলেন— রিউমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক

ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে মাহবুবুল হক।

২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দি হন খালেদা জিয়া। কারাগারে তিনি অসুস্থ হলে তাকে দ্বিতীয় দফায় বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি হাসপাতালের ৬১২ নম্বর কেবিনে আছেন। খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। তারা খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়ে আগ্রহী নয়। নতুন করে কোনো ওষুধও খাচ্ছেন না খালেদা জিয়া। ফলে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। কিন্তু সরকার ও ক্ষমতাসীন দল তাকে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়ে বারবার বলে আসছে। খালেদা জিয়ার দুই হাত বাঁকা হয়ে গেছে। অবস্থার অবনতি এবং বিশেষ শঙ্কা থেকেই খালেদা ও পরিবারের সর্বস্তরের সদস্য তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

অবশেষে যুক্তরাজ্যের কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ইচ্ছা পোষণ করেছেন খালেদা জিয়া। তার পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। সে মতেই আবেদন করেন আইনজীবীরা।

এদিকে আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবেন দীর্ঘ দুই বছর মুখে বলে এলেও বাস্তবে কোনো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারেনি খালেদা জিয়ার দল। তাই পরিবার উদ্যোগ নিয়েছে। দলের তরফ থেকে পরিবারের উদ্যোগের কথা অস্বীকার করলেও ভেতরে ভেতরে যোগাযোগ আছে। গত সোমবারও পরিবারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দলের সিনিয়র চার নেতা।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে মেডিকেল বোর্ডের একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি চিকিৎসকদের কাছে দাবি করেছেন, চিকিৎসকদের ওপর তাদের পুরো আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। কোনো চাপে নয়, বাস্তবমুখী রিপোর্ট যেন দাখিল করা হয়। তাতেই খালেদা জিয়ার জামিন এবং বিদেশ যাওয়ার নির্দেশনা মিলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মির্জা ফখরুল।

এর আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফোনে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে। ওবায়দুল কাদের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। তবে অনুষ্ঠানিকভাবে তারা বলছেন, জামিনের এখতিয়ার আদালতের। সরকারের হাতে নয়। সরকারের অন্যান্য মন্ত্রী বলছেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে।

আন্দোলনমুখী বিএনপি হঠাৎই শাসক দলের সঙ্গে শীর্ষ নেতার কাছে ফোন করায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নানামুখী গুঞ্জন ওঠে। কেউ বলে দলের দৈন্যদশার বহিঃপ্রকাশ আবার কেউ বলছেন, বিষয়টি রাজনৈতিক কৌশল বা রাজনৈতিক সংস্কৃতির মধ্যেই পড়ে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads