কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি মো. লিয়াকতসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার কক্সবাজারের আদালতে তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের দায়ের করা মামলায় এ পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
পরোয়ানা জারি হওয়া আসামিরা হলেন- টেকনাফ থানা থেকে প্রত্যাহার হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহারকৃত পরিদর্শক লিয়াকত আলী, উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এসআই টুটুল, কনস্টেবল মো. মোস্তফা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া আসামিরা আগের কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার হয়ে এখন পুলিশ লাইনে সংযুক্ত রয়েছেন।
গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় বুধবার টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ’র আদালতে ওসি প্রদীপ ও আইসি লিয়াকতসহ নয়জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে টেকনাফ থানার ওসিকে তা এফআইআর হিসাবে রুজু এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব-১৫) তদন্তের নির্দেশ দেয়।
আদালত সূত্র জানায়, আদালতের আদেশ মতে দায়ের করা মামলাটি বুধবার রাতেই টেকনাফ মডেল থানায় নিয়মিত হত্যা মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। মামলা নম্বর সিআর: ৯৪/২০২০ ইংরেজি (টেকনাফ)।
এ মামলায় সাবেক মেজর সিনহার সঙ্গী ও ৩১ জুলাইয়ের ঘটনায় টেকনাফ পুলিশের দায়ের করা মামলার আসামি সাহেদুল ইসলাম সিফাতসহ ১০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।