• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

আইন-আদালত

‘রাজাকারের তালিকা প্রকাশে আইন হচ্ছে’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ জানুয়ারি ২০২১

রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করার জন্য আইন পাস করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে আইনটি তুলতে চাই। তবে এ অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হওয়ায় আইনটি পাস করা সম্ভব হবে না।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর তাদের সহযোগীদের তালিকা করা যায় কি না সেই বিষয়টি ভেবে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

গতকাল সোমবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘সেবা সপ্তাহ-২০২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা জানান। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সামনের সড়কে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আগামী ২৬ মার্চ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে বহু লোক (মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেতে আবেদন করা) যাচাই-বাছাইয়ে টেকেনি, হয়তো তারা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছিলেন। সংজ্ঞা অনুযায়ী তারা প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত নন। আমাদের একটা পরিকল্পনা আছে-এগুলো (মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা) শেষ হলে আমরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা যায় কিনা সেই বিষয়টি ভেবে দেখব।’

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আমরা এক লাখ ৪০ হাজার মুক্তিযোদ্ধার নামের তালিকা করেছি। আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে আরো ৩৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধার গেজেট যাচাই-বাছাই করা হবে। এর বাইরে শহীদ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন ১৫ হাজারের মতো। আমাদের ধারণা, কোনোমতেই মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়াবে না। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা শেষ করার পর আমরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রণয়নে কাজ শুরু করব।

তিনি বলেন, একই সঙ্গে ৩০ লাখ লোক শহীদ হয়েছেন, এর মধ্যে অনেকে আছেন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বা অন্যান্যভাবে সেইসব তালিকা পূর্ণতা দেওয়া যায় কি না। একইভাবে আমরা সংসদে রাজাকারের তালিকা করার জন্য আইন করার চেষ্টা করছি। সব রকমের মানুষের দাবি, মানুষের জিজ্ঞাসা ও প্রশ্ন আছে বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা চূড়ান্ত করার পর আমরা সেইসব ব্যাপারে আত্মনিয়োগ করব।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সব সেবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেওয়া হচ্ছে। এ মন্ত্রণালয়ের সেবা সংক্রান্ত সব তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত হতে এ মন্ত্রণালয়ের সেবার জন্য আবেদন করা যাবে।

তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্মানি ভাতা গভর্নমেন্ট-টু-পারসন (জি-টু-পি) পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে সরাসরি বীর মুক্তিযোদ্ধার অ্যাকাউন্টে দেওয়া শুরু হয়েছে। এ পদ্ধতিতে সব আনুষঙ্গিক সারচার্জ সরকার বহন করবে। এজন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রয়োজনীয় তথ্য ডাটাবেজ সফটওয়্যার ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে (এমআইএস) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ১৪ হাজার বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হবে বলেও জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী।

এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল এবং মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads