• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

আইন-আদালত

নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছালো

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৯ জানুয়ারি ২০২১

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে ১লা ফেব্রুয়ারি ঠিক করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার এ মামলার অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। তবে খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেন নি। পরে তার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া সময়ের আবেদন করেন।

কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।

গত ২ বছর ধরে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা লাগাতার সময় আবেদন করে আসছেন জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দুদক আইনজীবী। তিনি বলেন, মামলার বাকি ১০ আসামির বিরুদ্ধে শুনানি সম্পন্ন হলো। শুধুমাত্র বেগম জিয়ার অনুপস্থিতির কারণে মামলাটির বিচার শুরু করা যাচ্ছে না।

তবে, বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের দাবি আদালতে হাজির হওয়া খালেদা জিয়ার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলেই তাদের মক্কেল আদালতে হাজির হচ্ছেন না।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন।

২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, তৎকালীন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহা-ব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

এর মধ্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

দুদকের করা অপর দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। সেখান থেকে পরে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়ই সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে তিনি গুলশানের বাসায় অবস্থান করছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads