• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯

সাহিত্য

জেনারেল মইনকে বিদায় করেছিলেন প্রণব

দেশীয় রাজনীতির অজানা কথা

  • সৈয়দ শিশির
  • প্রকাশিত ০৩ নভেম্বর ২০১৮

‘জেনারেল মইনকে বিদায় করেছিলেন প্রণব’ খ্যাতিমান সাংবাদিক ও কলাম লেখক নঈম নিজামের কলাম সংকলন। গ্রন্থে স্থান পাওয়া ১৯টি কলাম বিভিন্ন সময়ে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত। কলামগুলোতে উঠে এসেছে সাম্প্রতিককালে আমাদের সমাজ ও রাজনীতিতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা। বলা যায়, সমাজ ও রাজনীতির বিশ্লেষণ। এসব কলামে সংগ্রহে রাখার মতো অনেক রেফারেন্স আছে। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি তার আত্মজীবনীমূলক বই ‘দ্য কোয়ালিশন ইয়ারস ১৯৯৬-২০১২’-এ তুলে ধরেছেন বাংলাদেশের রাজনীতির অজানা বহু তথ্য। ভারতের রাজনীতির প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব প্রণব মুখার্জি তার এই বইয়ে অনেক কিছুই তুলে ধরেছেন খোলামেলাভাবে। বাংলাদেশের রাজনীতির বিভিন্ন অধ্যায়ে যার রয়েছে ঐতিহাসিক ভূমিকা। তার সঙ্গে ভারতে সাক্ষাৎ শেষে নঈম নিজাম লিখেছেন ‘জেনারেল মইনকে বিদায় করেছিলেন প্রণব’ শিরোনামের কলামটি। আর এই শিরোনামেই বইটির নামকরণও করা হয়েছে। কলামের এক স্থানে তিনি লিখেছেন, ‘প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু।

১৯৭১ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন। ওয়ান-ইলেভেনের এই অজানা অধ্যায় আমাদের জানা দরকার ছিল। কারণ এ নিয়ে অনেক গল্প শোনা যেত। বাস্তবে ভারতের কী ভূমিকা ছিল তা দেশবাসীর কাছে এখনো অজানা। ওয়ান-ইলাভেনের আগের দিন জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে কোন রাজনীতিকদের কথা হয়েছিল? বারীরা কার নির্দেশ শুনেছিলেন তা বের হওয়া দরকার।’

লেখাটিতে সাধারণের অজানা আরো অনেক তথ্য তুলে ধরেছেন লেখক। সেই সাক্ষাতে বাংলাদেশ নিয়ে প্রণব মুখার্জি অনেক কথা বলেছেন- এমনটিই দাবি করেছেন নঈম নিজাম। জিয়া-খালেদার বিষয়েও কথা হয়েছিল সেদিন। পাঠ করা যেতে পারে তার ‘প্রণবের মুখে জিয়া-খালেদার কথা’ শিরোনামের লেখাটির অংশবিশেষ। লিখেছেন, ‘কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে বিভিন্ন সময় মন্ত্রী থাকাকালে তার বাংলাদেশ সফরের কথা। তিনি বললেন, জিয়াউর রহমানের শাসনকালে মন্ত্রী হিসেবে ঢাকায় এসেছিলেন দুবার। তখনকার রাষ্ট্রপতি জিয়া দুবারই বঙ্গভবনে ডিনারের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তাকে। তিনিও জিয়ার আমন্ত্রণ রক্ষা করেছিলেন। সে সময় বেগম খালেদা জিয়া তার স্বামীর পাশেই ছিলেন।’ অবশ্য প্রণব যখন রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঢাকা সফর করেন, তখন বিএনপি থেকেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় নেওয়া হয়েছিল। যদিও অবরোধের অজুহাতে পরে আর তিনি সাক্ষাৎ করেননি! ভারতের ব্যুরোক্রেসি যে কারণে এখনো ক্ষুব্ধ বলে শোনা যায়। লেখাটিতে এ নিয়ে আরো বহু তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

গ্রন্থটিতে সূচিবদ্ধ হওয়া অন্য কলামগুলোতে উঠে এসেছে পান্ডা গার্ডেন ষড়যন্ত্র, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা চক্রান্তের গল্প, আওয়ামী লীগের কাউয়া বৃত্তান্ত, সুবিধা লীগের দেনা শোধের সময়, সিটি নিয়ে বড় দুই দলের সমঝোতা, ভেজাল রাজনীতিসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রসঙ্গ। গ্রন্থটির ভাষা, বর্ণনা, উপস্থাপনশৈলী অভিনব ও সুখপাঠ্য হওয়ায় পাঠকপ্রিয়তা পাবে বলে মনে করি। ৎ

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads