বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী বলেছেন, আল মাহমুদ কবি ছিলেন। কবি হিসেবেই তিনি বাঙালির কাছে বেঁচে থাকবেন। গতকাল শনিবার বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে প্রয়াত কবি আল মাহমুদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র এমন কোনো অবকাঠামো নয় যা জনগণের বাইরে। জনগণ যখন একজন কবিকে বিবেচনায় নেন, কবি হিসেবে মানেন। ধরে নেবেন রাষ্ট্রযন্ত্র তাকে মেনে নিয়েছে। রাষ্ট্রকে আলাদা করে দেখবেন না। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্মাননা এটা রাষ্ট্রের বিষয়। রাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনার কাজ। রাষ্ট্র কিছু নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাপনার ভেতর দিয়ে চলে। আমি এখন রাষ্ট্রযন্ত্রের অংশ। এ ব্যাপারে আমি কিছু বলব না। কিন্তু শুধু কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী হলে বলতাম।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক আরো বলেন, ’৪৭ সালের পর পূর্ব পাকিস্তানে নব কবিতার যে আন্দোলন শুরু হয়, পঞ্চাশের দশকে আল মাহমুদ তার অগ্রগণ্য কবি হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন। তার লোক-লোকান্তর থেকে শুরু করে সোনালী কাবিন সে সময় প্রকাশিত হয়। তার ভেতর দিয়ে বাঙালি জাতি নব উত্থানের একটি পথ পায়। আল মাহমুদ আমাদের লোকজীবনকে শহরজীবনের কাছে যে মাত্রায় উপস্থাপন করেছেন তা এক অভিনব ব্যাপার ছিল। সেজন্যই আল মাহমুদ বাংলা সাহিত্যের অনন্য কবি হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছিলেন। আগামী দিনে পরবর্তী প্রজন্ম তার পাঠের ভেতর দিয়ে বাংলা সাহিত্যের সারাংশ শুধু নয়, উপজীব্য বিষয়গুলো কিঞ্চিৎ হলেও লাভ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাত ১১টা ৫ মিনিটে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি কবি আল মাহমুদ। গতকাল বেলা পৌনে ১২টায় বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে রাখা হয় কবির মরদেহ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অমর একুশে গ্রন্থমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ।
