• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪২৮
কবিতা

ছবি : সংগৃহীত

সাহিত্য

কবিতা

  • প্রকাশিত ১৫ এপ্রিল ২০১৯

সোহরাব পাশা
নতুন পাতায় রোদের শব্দ

ক্ষিপ্র আগুন সভ্যতা অনুবাদ করে জলকাব্য
নদীর গহিনে যত গান
মাঝরাতে তেপান্তরে বিরহের বাঁশি,

টান পড়ে উজানের পুঞ্জীভূত মেঘের শেকড়ে
দূর তীব্র স্রোতে ভেসে যায় নীল ভোমরার কৌটো
বেঘোর ঘুমিয়ে পড়ে সব দৈত্যদানোর কুহক;

নতুন পাতায় রোদ পড়ে
অশেষ তৃষ্ণায় কেঁপে কেঁপে ওঠা মায়াবী দুপুর
আর কয়েকটি হলুদ বিকেল ডাকে—
‘ও জীবন’, জীবন ওই নামছে বেভুল সন্ধে

কংক্রিটের নিচে চাপা পড়ছে জ্যোৎস্নার ফুল পাখি
গোলাপের ঠোঁট বৃষ্টিমুখর হাওয়ার কুহক
গোপন অসুখে নিঃস্ব দীর্ঘশ্বাসে ছুটছে জীবন;

গোল হয়ে বসে থাকে দরবারি মেঘ
সোনার ছায়ায় দুলে ওঠে অলৌকিক
স্বপ্নবৃক্ষ
রাতের শরীর বেয়ে নামে কালোবর্ষা
ছিঁড়ে যায় পথের জ্যামিতি
নদীর ওপারে ক্ষীণ স্বরে ডাকে কেউ ‘ও জীবন’...

 

 

কামরুল হাসান
সমূহ নির্মাণের আগে

ভাঙো, কুমোর যেভাবে ভুল প্রতিমা ভাঙে
নির্ভুল নির্মাণের আগে ভেঙে ফেল প্রসিদ্ধ পুরাণ
কবি ব্যর্থ পিক্তমালা ভেঙে দেন অক্ষরে অক্ষরে;
নদী ভাঙে পাড়,
নিজস্ব নিয়তি মুখ সমূহ বাঁক নিয়ে যেভাবে ঘোরে
ভেঙে পড়ে মেঘ নীলিমা চূড়োয়
অবরুদ্ধ আকাশ ভাঙে বৃষ্টির ধারাপাতে।

ঝড় যেভাবে ভাঙে স্থবির লোকালয়
বিদ্রোহ বিন্যাস ভাঙে প্রবুদ্ধ প্রতিন্যাসে।

ভাঙো, শিশু যেমন ভেঙে আসে আলোহীন ঘরবাড়ি
জন্মের বিশিষ্ট চিৎকারে

 

 

 

সুবীর সরকার
উৎসব

প্রতিদিন নদীজলে মুখ দ্যাখো তুমি।
আর পশুখাদ্যে ভরে যাওয়া আমাদের
ট্রলিব্যাগ
ওত পেতে থাকা বাঘের আখ্যান
চলে যাওয়া আদতে কোনো বিষয় নয়
লাফিয়ে পড়ার জন্য বেছে নেওয়া দুর্বল
সেতু
আমাদের দৌড় থেমে যাচ্ছে
চাঁদ ও চাদরে ডাকনামগুলি লুকিয়ে
রাখছি
পেতে রাখা ফাঁদে পাখিরা আসে না
সীমান্তগ্রামের হলুদ খেত
বিবাহ জড়ানো ওড়না
তোমার ক্যামেরায় দেখি জলে নেমে পড়া
বাঘ আর অদ্ভুত এক বসন্ত উৎসব।

 

 

 

জোবায়ের মিলন
একটা কালবৈশাখ চাই

ঘৃতকুমারীর গতরে কালো জ্যোৎস্না,
পাশা-খেলার আয়োজন
মগজ মেঝে ক্রিয়ারত পচন মার্বেল
ঠাসবুননে গেঁথে আছে প্রবঞ্চক রাত্রি-খোঁপা...
দিন থেকে রাত, রাত থেকে দিন
ক্রমাগত অঙ্কুরিত লিকলিকে লজ্জাহীন পরাবাস্তব
লাভা ও লালাযুক্ত পকেটে ফণা তোলা সাপ!
দশদিক থেকে ঝুলছে তালা, দরজায়
সফেদ বাতাসে সাঁতার কাটা নিষেধ, জো নেই,
কোনো বকের-

—এই বেবুশ্যা কন্দরে একটা বৈশাখ চাই
ক্ষ্যাপা বোনমহিষের মতো
দুরন্ত লাল ষাঁড়ের মতো
ঝাঁকড়া চুলের বাবড়ি দুলানো বিদ্রোহী কবির
করোটির মতো।
এই বেবুশ্যা কন্দরে একটা বৈশাখ চাই, চাই-ই
বাদল মুখর কালবৈশাখ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads