• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯

সৌদি আরবের বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজ।

ছবি: রয়টার্স

মধ্যপ্রাচ্য

বাদশার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৪ এপ্রিল ২০১৮

নিজ ভূমিতে ইসরায়েলিদের শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের অধিকার রয়েছে, সৌদি যুবরাজের এ মন্তব্যের পর তার বাবা বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রতি সৌদি আরবের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। রয়টার্সের এত থবরে জানাযায় সোমবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন বাদশা সালমান। 

শুক্রবার ইসরায়েল-গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের এক বিক্ষোভ সমাবেশে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী গুলিতে ১৬ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর ট্রাম্পকে এ ফোন কলটি করলেন সালমান। ধারাবাহিকভাবে চলা ফিলিস্তিনিদের ওই বিক্ষোভে মঙ্গলবার আরও একজন নিহত হওয়ার পর নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

ওই দিনই সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ এর খবরে বলা হয়, “ফিলিস্তিনি ইস্যুতে এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনে ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ অধিকারের বিষয়ে সৌদি আরবের অবস্থানে দৃঢ় আছেন বাদশা সালমান।” সৌদি আরবের পক্ষ থেকে এ বিবৃতি আসার পর ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বাদশা সালমানের প্রশংসা করে ফিলিস্তিনিদের সমর্থন দেওয়ার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএফএ-তে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আব্বাস, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের বিষয়ে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার জন্য সৌদি আরবের প্রশংসা করেন। 

তবে ডব্লিউএএফএ-র ওই প্রতিবেদনে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের মন্তব্যের বিষয়ে কোনো কিছু বলা হয়নি। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সাময়িকীতে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ ‘নিজ ভূমিতে ইসরায়েলিদের শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের অধিকার আছে’ বলে মন্তব্য করেন, যাকে সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে বাড়তে থাকা ঘনিষ্ঠতার প্রকাশ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

যুবরাজ মোহাম্মদকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল নিজেদের পিতৃপুরুষের ভূমিতে একটি জাতিরাষ্ট্র হিসেবে বসবাসের সুযোগ ইহুদিদের আছে বলে তিনি মনে করেন কি না।

জবাবে তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, নিজেদের ভূমির ওপর ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলিদের পূর্ণ অধিকার আছে। আমাদের এখন একটি শান্তিচুক্তি দরকার যাতে সব পক্ষই স্থিতিশীল ও স্বাভাবিক একটি সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে।”

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads