• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
মুক্তি পেলেন তামিমি

ফিলিস্তিনি কিশোরি আহমেদ তামিমি

ছবি : ইন্টারনেট

মধ্যপ্রাচ্য

মুক্তি পেলেন তামিমি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ৩০ জুলাই ২০১৮

ইসরাইলে আট মাস কারাভোগের পর গতকাল রোববার মুক্তি পেলেন ফিলিস্তিনি কিশোরি আহমেদ তামিমি ও তার মা নারিমান। পশ্চিম তীরে দুই ইসরাইলি সেনাকে চড় ও লাথি দেওয়ার অভিযোগে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খবর বিবিসি ও আল জাজিরা।

গত বছরের ডিসেম্বরে তাদের আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ১২টি অভিযোগে আট মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তামিমি যখন পশ্চিম তীরে নিজ গ্রাম নাবি সালেহ পৌঁছেন তখন সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। তার প্রতি জনগণের এত ভালোবাসা দেখে আনন্দে কেঁদে ফেলেন তিনি।

নিজ গ্রামে ফিরে যাওয়ার আগে পশ্চিম তীরের চেক পয়েন্টে অল্প সময়ের জন্য সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তামিমি। এ সময় তিনি বলেন, শহীদের ভূমি ফিলিস্তিন থেকে আমি বলছি, ইসরাইলের দখলদারিত্বের অবসান না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ সংগ্রাম চলবে। ইসরাইলের নির্যাতন শিবিরে আটক নারী বন্দিদের প্রসঙ্গে বলেন, তাদের মনোবল বেশ দৃঢ়। বন্দি থাকার সময়ে যারা তাকে সমর্থন দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানান তামিমি।

রোববার সকালে তার বাবা বাসেম বলেন, আজ আমার জন্য খুবই আনন্দের দিন। আমরা তাদের (মা-মেয়ে) খুব মিস করেছি। তাদের ফিরে পাচ্ছি, কিন্তু তারপরও আমি উদ্বিগ্ন। কারণ ইসরাইলি দখলদারিত্ব অব্যাহত এবং আমাদের লোকজনের প্রাণ যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমার ছেলে ওয়ায়েদ (২১) এখনো ইসরাইলি কারাগারে বন্দি। মে মাসে এক অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের শেষ দিকে নাবি সালেহ গ্রামে পরিবারের সদস্যদের ওপর ইসরাইলি সেনারা হামলা চালায়। এতে তামিমির চাচাতো ভাই নিহত হয়। এ সময় ইসরাইলি সেনাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান তিনি। দুই ইসরাইলি সেনার ওপর পাল্টা হামলা চালান। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর তামিমি দুজন ইসরাইলি সেনার সঙ্গে চিৎকার করছেন। তিনি এক সেনাকে চড় ও লাথি মারছেন এবং তাদের চলে যেতে বলছেন। এ ঘটনার ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল হওয়ার পর তাকে আটক করে ইসরাইল।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads