ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা দাবি করছেন, ইয়েমেন ও সৌদি আরবের সীমান্ত অঞ্চলে এক অভিযানে তারা বিপুল সংখ্যক সৌদি সেনা সদস্যকে আটক করেছে।
একজন হুতি মুখপাত্র জানান, তারা সৌদি শহর নাজরানের কাছে সৌদি সেনাদের তিনটি ব্রিগেড আত্মসমর্পণ করেছে। খবর বিবিসির।
তিনি বলেছেন, কয়েক হাজার সৈন্য আটক করা হয়েছে এবং অনেকে নিহত হয়েছে। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি।
ওই হুতি মুখপাত্র জানান, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটিই ছিল সবচেয়ে বড় মাপের অভিযান।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আবদ্রাব্বু মনসুর হাদি ও তার মন্ত্রিসভা হুতিদের কারণে রাজধানী সানা থেকে পালাতে বাধ্য হন। সেসময় থেকেই যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে ইয়েমেনে।
হুতিরা ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকা দখল করে রেখেছে।
সৌদি আরব প্রেসিডেন্ট হাদিকে সমর্থন করে এবং ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক দেশগুলোর সমন্বয়ে তাদের বিরুদ্ধে চলমান বিমান হামলার নেতৃত্ব দেয়।
যৌথ বাহিনী প্রায় প্রতিদিনই বিমান হামলা চালায়। এর জবাবে হুতিরা সৌদি আরবে মিসাইল নিক্ষেপ করে।
এই গৃহযুদ্ধের ফলে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ইয়েমেন।
মোট জনসংখ্যার ৮০% মানুষ বা প্রায় ২ কোটি ৪০ লাখ মানুষ মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। এদের মধ্যে প্রায় ১ কোটি মানুষ জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের জন্য সম্পূর্ণভাবে ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল।
প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষের জানা নেই- তাদের পরবর্তী বেলার খাবার জুটবে কিনা। পাঁচ বছরের নীচের ৪ লাখ শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে, যা তাদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছে।
দেশটিতে স্বাস্থ্য সেবা ভেঙ্গে পড়েছে, কলেরা আর ডিপথেরিয়া ছড়িয়ে পড়েছে।
জাতিসংঘের ধারণা অনুযায়ী, সংঘাতের কারণে ২০১৬ থেকে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ এখন পর্যন্ত মারা গেছে।