সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী মেজর জেনারেল আবদুল আজিজ আল-ফাগাম গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।
ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে তিনি নিহত হয়েছেন বলে আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন টুইট করে আল-ফাগামের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে।
টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, সৌদি বাদশাহ সালমানের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী মেজর জেনারেল আবদুল আজিজ আল-ফাগাম জেদ্দায় ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।
মক্কার পুলিশ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাদশাহ সালমানের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী মেজর জেনারেল আবদুল আজিজ আল-ফাগাম জেদ্দায় তার বন্ধু ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ আল-সাবতির বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সে সময় মামদুহ বিন মিশাল আল-আলী নামে দুজনের এক বন্ধু সেখানে পৌঁছান। একপর্যায়ে ব্যক্তিগত ও অর্থনৈতিক বিষয়াদি নিয়ে আল-আলী ও আল-ফাগামের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। আল-আলী তখন একটি বন্দুক নিয়ে এসে গুলি ছুড়লে গুলিবিদ্ধ হন আল-ফাগাম। এ সময় গৃহকর্তা আল-সাবতির ভাই তুর্কি আল–সাবতি ও একজন গৃহকর্মী আহত হন।
খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। আল-আলী তখন পুলিশের উদ্দেশেও গুলি চালান। পরে পুলিশও পাল্টা গুলি করলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আল-আলী। গুরুতর আহত আল-ফাগামকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে পরে হাসপাতালেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি। হামলায় নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা।
জেনারেল ফাগাম বাদশাহ সালমানের বেশ ঘনিষ্ঠ। এর আগে তিনি প্রয়াত বাদশাহ আবদুল্লাহরও দেহরক্ষী ছিলেন।
বাদশাহ সালমান ৭৯ বছর বয়সে ২০১৫ সালে সৌদি আরবের ক্ষমতায় আসেন। তবে সৌদি আরবে ক্ষমতার মূল চাবিকাঠি তার ছেলে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের কাছে বলে মনে করা হয়।