• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
দেশে ফসল আবাদের নিবিড়তা বৃদ্ধি পেয়ে ২১৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে

মো. আবদুর রহমান

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বিবিধ

দেশে ফসল আবাদের নিবিড়তা বৃদ্ধি পেয়ে ২১৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে

  • প্রকাশিত ১৪ নভেম্বর ২০১৮

মো. আবদুর রহমান

 

বাংলাদেশে কৃষির অগ্রযাত্রা বিশ্বব্যাপী অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তাই সরকারি-বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসহ সবার সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতাকে টেকসই রূপ দিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা ক্ষুধা, অপুষ্টি ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।  সরকার নানাবিধ সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে মোট ২ কোটি ৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৭৭ জন কৃষককে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড প্রদান করেছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিশেষ কর্মসূচির আওতায় কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে হাওর ও দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার কৃষকদের জন্য ৭০ শতাংশ এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ৫০ শতাংশ হারে সরকারি আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ফলে চাষাবাদের ক্ষেত্রে প্রায় ৯৫ শতাংশ জমি যান্ত্রিক চাষাবাদের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে দেশে ফসল আবাদের নিবিড়তা বৃদ্ধি পেয়ে ২১৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। দুই দশক আগেও যেখানে দেশের অর্ধেক এলাকায় একটি ও বাকি এলাকায় দুটি ফসল আবাদ হতো, বর্তমানে বছরে গড়ে দুটি ফসল হচ্ছে। কোথাও কোথাও কিছু কিছু পরিকল্পিতভাবে একই জমিতে বছরে ৩-৪টি ফসল হচ্ছে। তাছাড়া মিশ্র ফসল, সাথি ফসল, রিলে ফসল, ঘেরের আইলে ফসল, বহুস্তরী ফসল, যৌক্তিক ফসল বিন্যাস, মৌচাষ, ছাদ কৃষি, বসতবাড়ির কৃষি, নার্সারি ব্যবস্থাপনা, ফল বাগান, কৃষিভিত্তিক কুটিরশিল্প, বহুমুখী সমন্বিত কৃষি, সার্জান কৃষি, কৃষিতে আইসিটি ও ডিজিটাল সেবা, সময়োপযোগী কৃষি ও লাগসই প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার- এসব কারণে কৃষিক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে অভূতপূর্ব, অভাবনীয় ও ঈর্ষণীয় সাফল্য। সারা দেশে নারিকেল, তাল ও খেজুর চাষ বৃদ্ধির কার্যক্রম চলমান। ৭ লাখ খাটো জাতের নারিকেলের চারা, ৩০ লাখ তালের চারা এবং ১০ হাজার খেজুরের চারা বিতরণ ও রোপণ করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের অপ্রচলিত ও বিদেশি ফল চাষে উৎসাহ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করে ফসল উৎপাদনের আঞ্চলিক উপযোগিতা বিবেচনায় ক্রপিং জোন নির্ধারণের মাধ্যমে কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধিসহ প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনের বিষয়টি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন। স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ ফল ও সবজি উৎপাদনের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কৃষিখাতে বায়োটেকনোলজি, পার্চিং, ফেরোমন ফাঁদ, আইপিএম, আইএফএমসি, আইসিএম, উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি ব্যবহার করে যথাসম্ভব বালাইনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

 

লেখক : উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি অফিস, তেরখাদা, খুলনা

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads