• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ক্রপ জোনিং করে ফসল উৎপাদন সময়ের দাবি

কৃষিবিদ ড. আখতারুজ্জামান

বিবিধ

ক্রপ জোনিং করে ফসল উৎপাদন সময়ের দাবি

  • প্রকাশিত ১৪ নভেম্বর ২০১৮

কৃষিবিদ ড. আখতারুজ্জামান

 

বিবর্তনের পথপরিক্রমায় মানুষ বেড়েই চলেছে; নগরায়ণ ও শিল্পায়নের সঙ্গে সঙ্গে কমে যাচ্ছে কৃষিজমি। অল্প জমিতে অধিক ফলন ফলাতে লাগসই ও টেকসই কৃষির অপরিহার্যতা প্রশ্নাতীত। জলবায়ুর পরিবর্তন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে পরিবর্তিত পরিস্থিতির উপযোগী কৃষির উন্নয়ন করাটা সবিশেষ জরুরি। মানুষের অন্নের সংস্থান করতে হলে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই।  ক্রপ জোনিং করে ফসল উৎপাদন করাটা এখন সময়ের দাবি মাত্র। মানুষ যতদিন থাকবে, যতদিন মানুষের বেঁচে থাকার জন্য খাবারের দরকার হবে ততদিন স্বমহিমায় বেঁচে থাকবে কৃষি ও কৃষক। সব সেক্টরের সব উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে যদি কৃষি ও কৃষক প্রতিটি মানুষের জন্য প্রাকৃতিক খাদ্যের জোগান দিতে সক্ষম না হয়। কৃষি উৎপাদনকে আনুভূমিক নয়, উল্লম্ব পদ্ধতিতে বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। সময়, অবস্থা ও অবস্থানের প্রেক্ষিতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বায়োটেকনোলজির সমন্বিত ব্যবহারে কৃষি হবে সমৃদ্ধ। জেনেটিক্যালি মডিফাইড ফুডই হবে আমাদের প্রধান খাদ্য। কৃষি আজো বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। জিডিপিতে এখনো কৃষির অবদান ১৪ দশমিক ২৪ শতাংশ। কৃষি হচ্ছে ফসল ও অন্যান্য কৃষিজ সম্পদ উৎপাদনের বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি। কৃষিক্ষেত্রের অন্য উপশাখাগুলো হচ্ছে গবাদিপশু, মৎস্য ও বন প্রভৃতি। আজকের কৃষি, কৃষক এবং কৃষিবিদ এখন অনেক আধুনিক। দেশের ৮০ ভাগ মানুষ একসময় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির সঙ্গে জড়িত ছিল, সেই সংখ্যা এখন কিছুটা কমলেও জাতীয় উন্নয়নে এখনো কৃষির অবদান অনস্বীকার্য।

 

লেখক : উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, মেহেরপুর

সংগ্রহ : মো. মনিরুল ইসলাম মনির, মেহেরপুর প্রতিনিধি

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads