• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
শাহ আলমগীরের প্রথম জানাজা বিকেল তিনটায় প্রেসক্লাবে

শাহ আলমগীর

ছবি : সংগৃহীত

বিবিধ

শাহ আলমগীরের প্রথম জানাজা বিকেল তিনটায় প্রেসক্লাবে

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের (পিআইবি) মহাপরিচালক ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সভাপতি শাহ আলমগীরের প্রথম জানাজা রাজধানীর গোড়ানে দুপুর দেড়টায় অনুষ্ঠিত হবে ।

এরপর দুপুর আড়াইটায় পিআইবিতে ও বিকেল তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রেসক্লাবে জানাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রেসক্লাব সভাপতি সাইফুল আলম। প্রেসক্লাবের সকল সদস্যকে এই জানাজায় উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বিকেল চারটায় উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে আরেকটি জানাজা শেষে সেখানকার গণকবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

গেলো ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে অসুস্থ হয়ে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হন শাহ আলমগীর। অবস্থার অবনতি হলে পরদিন তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়। আজ সকাল ১০টায় লাইফ সাপোর্টে রাখা অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

শাহ আলমগীর ২০১৩ সালের ৭ জুলাই প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পি]আইবি)- এর মহাপরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। গেল বছরের জুলাইতে সরকার তার চাকরির মেয়াদ আরও এক বছর বৃদ্ধি করে। এরফলে ২০১৯ সালের জুলাইয়ের ৭ তারিখ পর্যন্ত পিআইবি মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কথা তার।

শাহ আলমগীর ছাত্রজীবন থেকেই সাংবাদিকতা শুরু করেন। ৩৫ বছরের দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে তিনি একাধিক ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। পিআইবিতে যোগদানের পূর্বে তিনি সর্বশেষ এশিয়ান টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন উপমহাদেশের প্রথম শিশু-কিশোর সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা পত্রিকায় যোগদানের মাধ্যমে । তাছাড়াও তিনি দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ ও সংবাদ ও প্রথম আলোতে কাজ করেন।

এছাড়াও তিনি বিভিন্ন টেলিভিশন মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন। চ্যানেল আই-এর প্রধান বার্তা সম্পাদক, একুশে টেলিভিশনে হেড অব নিউজ, যমুনা টেলিভিশনে পরিচালক (বার্তা) এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে বার্তা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

শাহ আলমগীর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়াও তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি’র পরিচালনা বোর্ডেরও সদস্য তিনি।

সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার ২০০৬, ‘ চন্দ্রাবতী স্বর্ণপদক ২০০৫’, ‘রোটারি ঢাকা সাউথ ভোকেশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ এবং ‘কুমিল্লা যুব সমিতি অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ পেয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশিষ্ট এ সাংবাদিকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads