• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

ফাইল ছবি

জাতীয়

তহবিল সঙ্কটে জীবনঝুঁকিতে রোহিঙ্গারা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৮ এপ্রিল ২০১৮

আর্থিক সহায়তা তহবিলের সঙ্কটের কারণে প্রাণ হারানোর ঝুঁকিতে পড়েছে লাখো রোহিঙ্গা। এমন অবস্থায় দ্রুত অর্থ সহায়তায় বিভিন্ন রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। রোহিঙ্গাদের সহায়তায় জাতিসংঘের গঠিত তহবিলের মাত্র ৯ শতাংশ অনুদান জমা পড়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

জাতিসংঘের অভিবাসন সংক্রান্ত এই সংস্থাটি গতকাল শুক্রবার তাদের অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে কক্সবাজারে বন্যা, ভূমিধস ছাড়াও অন্যান্য দুর্যোগের শঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় জীবনঝুঁকিতে রয়েছে সেখানকার বিভিন্ন শিবিরে অবস্থান করা কমপক্ষে ১ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা। এদের মধ্যে অতিবৃষ্টির কারণে ভূমিধসের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে ২৫ হাজার জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্রুত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা না গেলে কক্সবাজারে কাজ করা ত্রাণ সংস্থাগুলোর পক্ষে এ দুর্যোগ সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না। এমনকি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষেও এ ব্যয়ভার বহন সম্ভব নয়। রোহিঙ্গাদের জন্য দ্রুত অন্যত্র শিবির তৈরি করা না গেলে মৃত্যু ছাড়াও সুপেয় পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও পরিচ্ছন্নতার অভাবে নানা রোগ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থা  থেকে কাটিয়ে উঠতে হলে দ্রুত অর্থসংস্থান প্রয়োজন।

ত্রাণ সহায়তার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি এক্ষেত্রে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানের আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেছে আইওএম। সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কক্সবাজারের শিবিরগুলোতে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জন্য ১৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছিল তারা। এর মধ্যে মাত্র ৩১ মিলিয়ন ডলার পাওয়া গেছে। এখনো আরো ১৫১ মিলিয়ন ডলার ঘাটতি রয়েছে। এ ছাড়া জাতিসংঘের গঠিত ৯৫১ মিলিয়ন ডলার তহবিলের মাত্র ৯ শতাংশ এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে। এ অবস্থাকে হতাশাব্যঞ্জক বলেছে সংস্থাটি।

গত ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নির্মূল অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। নির্বিচারে গণহত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াও, লুটপাটের শিকার হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আন্তর্জাতিক চাপে এদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও তা এখনো শুরু করেনি মিয়ানমার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads