• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

রোহিঙ্গা শিবির

সংরক্ষিত ছবি

জাতীয়

কলেরার টিকা পাচ্ছে সাড়ে ৮ লাখ রোহিঙ্গা

  • টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৭ মে ২০১৮

রোহিঙ্গা শিবির ও এর আশপাশের এলাকায় আবারো কলেরা টিকা খাওয়ানোর কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। এবারের ধাপে মোট ৯ লাখ ৮৪ হাজার ৯০৫ জনকে টিকা খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার স্থানীয় জনগণ ও বাকিরা মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা। গতকাল রোববার বালুখালী শিবিরের জামতলী এলাকায় টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয়।

বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান প্রকল্পের (ইপিআই) প্রোগ্রাম ম্যানেজার আলতাফ হোসেন। একই দিন টেকনাফের শামলাপুর ও চাকমারকুল রোহিঙ্গা শিবিরেও শুরু হয়েছে টিকাদান কার্যক্রম। ক্যাম্পেইনটি ১৩ মে পর্যন্ত চলবে। উখিয়ায় ১৭০টি টিকাদান টিম ও টেকনাফে ৭৫টি টিম কাজ করছে। মোট ১২ শ স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানান কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. আবদুস সালাম। রেজিস্ট্রেশন ও রেশন স্থানেও প্রতিদিন টিকা দেওয়া হচ্ছে। আগামী জুন ও জুলাইয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড টিকা দেওয়া হবে।

যেসব রোহিঙ্গা ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবরের পরে বাংলাদেশে এসেছে তাদের মধ্যে ১ বছরের বেশি বয়সী সবাইকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হবে। যারা ওই সময়ের আগে এসেছে তাদের মধ্যে ৫ বছরের বেশি বয়সীদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হবে। ১ থেকে ৫ বছর বয়সের মধ্যে যেসব শিশু ইতোমধ্যে ২ ডোজ কলেরা টিকা পেয়েছে তারা এবারের ক্যাম্পেইনের বাইরে থাকবে।

যেখানে মিয়ানমার থেকে আগতরা স্থানীয়দের সঙ্গে মিশে গেছে, সেখানে ১ বছরের বেশি বয়সী সবাইকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হবে। একইভাবে তাদের মধ্যেও ১ থেকে ৫ বছর বয়সী যেসব শিশু ইতোমধ্যে ২ ডোজ কলেরা টিকা পেয়েছে তারা ক্যাম্পেইনের বাইরে থাকবে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত টিকাদান কেন্দ্র খোলা থাকবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের নেতৃত্বে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), ইউনিসেফ ও আইসিডিডিআরবিসহ বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় পরিচালনা করা হচ্ছে এ কার্যক্রম। টিকা ও সামগ্রী কেনায় অর্থায়ন করেছে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাক্সিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই)।

ডা. আবদুস সালাম জানান, কলেরা খাদ্য ও পানিবাহিত একটি সংক্রামক রোগ। আক্রান্ত রোগীর মলের মাধ্যমে এই জীবাণু ছড়ায়, যা খাবার ও পানিতে ছড়িয়ে পড়ে। ডায়রিয়ার কারণে রোগাক্রান্তদের মধ্যে তীব্র পানিশূন্যতা দেখা দেয়। সময়মতো চিকিৎসা না পেলে এই রোগে আক্রান্ত মানুষ মৃত্যুবরণ করে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads