• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান

সংরক্ষিত ছবি

জাতীয়

তিন দিনের মধ্যেই কোটা নিয়ে কমিটি : সচিব

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৯ মে ২০১৮

আন্দোলনকারীদের ফের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কোটা-সংক্রান্ত বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে অবশেষে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তাকে সদস্য করে তিন দিনের মধ্যেই একটি কমিটি গঠন করবে সরকার। এ কমিটির সুপারিশের পর প্রজ্ঞাপন জারি করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোটা নিয়ে যে কমিটি গঠনের কথা বলেছিলেন, সেই কমিটি দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই গঠন করা হবে। কমিটির প্রধান হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিটি যে সিদ্ধান্ত দেবে, সে অনুযায়ী চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হবে। কম সময়ের মধ্যেই কমিটি সুপারিশ করবে বলে জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব।

প্রধানমন্ত্রীর কোটা বাতিলের ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করা না হলে রোববার থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তাদের এ ঘোষণা অনুযায়ী চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়ার আগেই সরকারের পক্ষ থেকে কমিটি গঠনের ঘোষণা দেওয়া হলো। এর আগে গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছিলেন, তার কাছে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। মন্ত্রিসভার বৈঠকের ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, কোটা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি এবং কোনো অগ্রগতিও নেই। আগে যে অবস্থায় ছিল, তাই আছে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ১৯৭২ সালে কোটা চালু করেছিলেন উপহার হিসেবে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে নির্মমভাবে হত্যার পর এই কোটা প্রথা বাতিল করা হয়। পরবর্তী ২৪ বছর মুক্তিযোদ্ধাদের এই কোটা দেওয়া হয়নি। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য আবারো কোটা চালু করেন। এছাড়া সমাজের পিছিয়ে পড়াদের জন্য কোটা পদ্ধতি চালু আছে। সর্বশেষ ২০০৯ সালের ২০ ডিসেম্বর জেলাওয়ারি কোটা নির্ধারণ করা হয়।

দীর্ঘদিন কোটা সংস্কার না করায় মেধাবী শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা বিভিন্ন সময় সংস্কারের দাবি তুলে ধরেন। পরে দফায় দফায় আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের একপর্যায়ে গত ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে কোটা তুলে দেওয়ার ঘোষণা দেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads