• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
দশম সংসদে কোরাম সঙ্কটে অপচয় ১২৫ কোটি টাকা

জাতীয় সংসদ অধিবেশন

সংরক্ষিত ছবি

জাতীয়

টিআইবির প্রতিবেদন

দশম সংসদে কোরাম সঙ্কটে অপচয় ১২৫ কোটি টাকা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ মে ২০১৮

চলতি দশম জাতীয় সংসদে কোরাম সঙ্কটের কারণে ১৫২ ঘণ্টা ১৭ মিনিট অপচয় হয়েছে। এর অর্থমূল্য ১২৫ কোটি ২০ লাখ ৬৯ হাজার ৪৪৫ টাকা ।

বৃহস্পতিবার ঢাকার ধানমন্ডিতে মাইদাস সেন্টারে নিজেদের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদন ‘পার্লামেন্ট ওয়াচ’ প্রকাশ করে টিআইবি। চলতি সংসদের ১৪তম থেকে ১৮তম অধিবেশন পর্যন্ত (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত অধিবেশন নিয়ে এই গবেষণা করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ওই পাঁচটি অধিবেশনে ৭৬ কার্যদিবস অধিবেশন চলে, যার মধ্যে ৩৮ ঘণ্টা তিন মিনিট অপচয় হয়েছে কোরাম সঙ্কটে। প্রতি কার্যদিবস হিসেবে গড়ে অপচয় হয়েছে ৩০ মিনিট। এর আর্থিক মূল্য ৩৭ কোটি ৩৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৩৮ টাকা। প্রতি মিনিট হিসেবে যা দাঁড়ায় এক লাখ ৬৩ হাজার ৬৮৬ টাকা।

গবেষণায় দেখা যায়, বিভিন্ন আলোচনা পর্বে সংসদ সদস্যরা অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করেছেন মোট সময়ের ৫ শতাংশে। সদস্যদের ভেতরের প্রতিপক্ষ দল সংসদের বাইরের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিয়ে ১৯৫ বার অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করেছে। বিশ্বব্যাংক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার হয়েছে ২৩ বার।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কোরাম সংকট সব সময়ই ছিল। এখন সেটি গড়ে ৩০ মিনিট, যা উদ্বেগের বিষয়।

কোরাম সংকটের অর্থমূল্যের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এটা প্রাক্কলিত আনুমানিক অর্থমূল্য। এটাকে টিআইবি দুর্নীতি বলছে না। একটি ধারণা দেওয়ার জন্য এই অর্থমূল্যের প্রাক্কলন করা হয়েছে।

সংসদে ৩৫০ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন। কোরাম হলো সংসদ অধিবেশনে বসার ন্যূনতম যোগ্যতা। সংসদে ন্যূনতম ৬০ জন সদস্য উপস্থিত থাকলে কোরাম গঠিত হয়। সংসদে ৬০ জন সদস্য উপস্থিত না থাকলে কোরাম সংকট হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads